আব্দুল মতিন, মণিরামপুর: বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেছেন- মোহাম্মদ মুছা একজন রাজনৈতিক নেতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন অভিভাবক। যিনি তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সবার আস্থা ও ভালোবাসায় স্থান করে নিয়েছিলেন। তৃণমূল নেতাকর্মীদের এককাতারে আনতে নিরলস চেষ্টা করে গেছেন। মোহাম্মদ মুছা ছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন অন্যতম নেতা। আজ তার এই স্মরণ সভা করতে আমরা মোটেও প্রস্তুতি ছিলাম না। শুধু আমরা নয়, মোহাম্মদ মুছার মৃত্যুতে দেশ নায়ক তারেক রহমানও ব্যথিত।
মণিরামপুর উপজেলা বিএনপি নেতা ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সদ্য প্রয়াত মোহাম্মদ মুছার স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শনিবার দুপুরে জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. শহীদ ইকবাল হোসেন।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিন্টুর পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, যশোর চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি মিজানুর রহমান খান, জেলা বিএনরি সাবেক সহসভাপতি গোলাম রেজা দুলু, যশোর জেলা সাংগঠিক সম্পাদক শহিদুল বারী রবু, রবিউল ইসলাম, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনসারুল হক রানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোস্তফা আমীর ফয়সাল, সদস্য সচিব রাজিবুল রহমান সাগর, যশোর আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এমএ গফুর, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাবেক নেতা ইফতেখার সেলিম অগ্নি, পৌর বিএনপির সভাপতি খায়রুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মফিজুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামছুজ্জামান শান্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, খান শফিয়ার রহমান, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সন্তোষ স্বর, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, মরহুমের পুত্র শাহিনুর রহমান, মঈনুল ইসলাম, যুবদলের সাইদুর রহমান, মুক্তার হোসেন, ছাত্রদলের অলিয়ার রহমান, ইউনুস আলী জুয়েল, মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ৪ অক্টোবর ভোরে যশোরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোহাম্মদ মুছা মৃত্যুবরণ করেন। তিনি মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনসহ জেলা ও উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। এছাড়া তিন বার ইউপি চেয়ারম্যানসহ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।