সিরাজুল ইসলাম, কেশবপুর : কেশবপুরে কৃষি অফিসের প্রণোদনার গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ বীজ চাষ করে উচ্চ ফলন পেয়েছে কৃষকেরা। যার ফলে ভালো দাম পেয়ে লাভবান হওয়ায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে এলাকার কৃষকদের ভেতর আগ্রহ বাড়ছে। গত বছরের চেয়ে এবার এ উপজেলায় ৮ হেক্টর বেশি জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ আবাদ করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এ উপজেলায় ১৪০ কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ এবং রাসায়নিক সার ও বালাইনাশক বাবদ নগদ অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছে। এবার প্রণোদনার আওতায় বিতরণকৃত নাসিক এন-৫৩ জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ আবাদ করে উচ্চ ফলন পেয়েছে কৃষকরা। চলতি বছর এ উপজেলায় কৃষকেরা ১৯ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করেছে। এ ছাড়া ২০২৪ সালে ১১ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ আবাদ করা হয়।
উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নের ব্রাহ্মণডাঙ্গা গ্রামের কৃষক হাফিজুর রহমান বলেন, কৃষি অফিস থেকে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ পেয়ে এক বিঘা জমিতে আবাদ করেছিলাম। ফলন খুবই ভালো হয়েছে। বিঘা প্রতি ফলন হবে আনুমানিক ১২০ মণ। জমি প্রস্তুত থেকে পেঁয়াজ উত্তোলন পর্যন্ত খরচ বাদে দ্বিগুণ লাভ হবে বলে আশাবাদী। আমার পেঁয়াজের এমন ফলন দেখে এলাকার অন্য কৃষকেরাও পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্যাহ আল মামুন দৈনিক স্পন্দনকে জানান, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৪০ কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ ও সার দেয়া হয়। যে কারণে গতবছরের চেয়ে এবার এ উপজেলায় ৮ হেক্টর বেশি জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকলে থাকায় ও কৃষি অফিসের পরামর্শ মেনে কৃষকেরা গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করে উচ্চ ফলন পেয়েছে।