মিরাজুল কবীর টিটো: যশোর সদর উপজেলার মুক্তেশ্বরী সংলগ্ন ভাতুড়িয়া খাল দখলমুক্ত করে খনন করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড। একাজে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বুধবার সকালে কালেক্টরেট সভা কক্ষ অমিত্রাক্ষরে অনুষ্ঠিত জেলা নদী রক্ষা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জী বলেন- ২০২৩ সালে ভাতুরিয়া খাল পানি প্রবাহ ছিল। ২০২৪ সালে এক শ্রেণির অসাধু প্লট ব্যবসায়ী মুক্তেশ্বরী নদীর ২২ থেকে ২৫ ফিট ভাতুড়িয়া খাল ভরাট করে ফেলেছে। সেখানে প্লট বিক্রির সাইন বোর্ড টানিয়েছে। এ খাল দখলমুক্ত করে খুব শীঘ্রই খনন কাজ শুরু করা হবে।
তিনি আরো বলেন আপা ভদ্রা নদীর দূষণ ও দখলমুক্ত করার লক্ষে কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী ঠিাকাদার নিয়োগপূর্বক কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। সি এস ম্যাপ অনুসারে নদীর দুই পাড়ে ১৮ কিলোমিটারের মধ্যে ১৬ কিলোমিটার জুড়ে নদীর সীমানা নির্ধারণ করে সীমানা নির্ধারণ করে পিলার বসানো হয়েছে। বর্তমানে কাজ চলমান রয়েছে। নদী দুষণ মুক্ত রাখতে এলাকাবাসীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করা হয়েছে। আমডাঙ্গা খাল খননের লক্ষে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ভৈরবের যশোর শহর অংশে নৌকা চালানোর জন্য তিন ব্যক্তি আবেদন করেছে। তার মধ্যে একজনকে নৌকা চালানোর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। স্ক্যান হাসপাতালের ভবনের কিছু অংশ ভৈরবে সীমানার মধ্যে পড়েছে। মামলার কারনে পাঁচ বছর ধরে উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার প্রস্তাব রাখেন তিনি।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কমলেশ মজুমদার তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে বলেন- ভাতুড়িয়া খাল যদি খনন করা না যায় তাহলে আগামী বর্ষার মৌসুমে যশোর শহরের পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হবে। ভাতুড়িয়ার মানুষ চাষাবাদে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুর রহমান বলেন- নদী দূষণের কারন চিহিৃত আছে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেন- পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাতুরিয়া খাল খনন করবে, একাজে সহযোগিতা করা হবে। যেসব প্রতিষ্ঠান নদী দূষণ করছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করবেন পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক। সেই সাথে কাজের গতি বাড়াতে হবে। যেসব উপজেলায় ব্রিজ নির্মাণ প্রয়োজন, সেসব উপজেলা থেকে তালিকা পাঠাতে হবে।
প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন বলেন- সদরের কচুয়ার একটি ব্রিজের সংকীর্ণতার কারনে ভৈরবের শহর অংশে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান বলেন- শার্শার বেতনা নদী ও এর শাখা নদীর উপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর চারটি ব্রিজ নির্মাণ করেছে। এর মধ্যে পাকশিয়া ব্রিজের উচ্চতা কম থাকায় ব্রিজের নিচে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হবে।
এসময় সাত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও আট উপজেলার এসিল্যান্ড উপস্থিত ছিলেন।