নিজস্ব প্রতিবেদক, মণিরামপুর: মণিরামপুরে গভীর রাতে এক কৃষকের বাড়িতে ঢুকে সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দিবাগত রাত ৪টার দিকে উপজেলার জলকর রোহিতা দাসপাড়ার নির্মল দাসের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারে আসা ৫-৭ জনের মুখোশধারী একটি দল ঘরের প্রধান ফটক ভেঙে পরিবারের সদস্যদেরকে মারধর করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। জানা যায়, শনিবার দিবাগত রাত ৪টার দিকে কৃষক নির্মল দাসের বাড়িতে ৫ থেকে ৭ জনের একটি ডাকাত দল দেশি অস্ত্র নিয়ে প্রধান ফটক ভেঙে প্রবেশ করে। তারা একতলা বাড়ির চারটি ইউনিটের প্রতিটি কক্ষে ঢুকে সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে লুটপাট চালায়। প্রতিটি কক্ষের আলমারি ও ওয়ার্ডরোব থেকে টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নেয়। এ সময় ডাকাত দলের সদস্যদের হাতে মারধরের শিকার হয়ে গুরুতর আহত হন বাড়ির মালিক নির্মল দাস। নির্মল দাস বলেন-মুখোশপরে ৫-৭ জন বাড়ির গেটের তালা ভেঙে ফেলে। এরপর ঘরে ঢুকে আমাকে মারপিট শুরু করে। চিৎকার চেচামেচি করে দৌড়ে পালাতে গেলে তারা লোহার রড দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে। এরপর তারা আমার স্ত্রী সুষমা রানীসহ মেয়ে ও ছেলের বউকেও মারপিট করে। ঘরের আলমারি থেকে স¦র্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে গেছে। নির্মল দাসের ভাইপো ঝিকরগাছা সরকারি এম.এল মডেল হাই স্কুলের শিক্ষক দেবাশীষ বিশ্বাস বলেন- ডাকাতদল বাড়ির অদূরে বাঁশতলায় পাকা রাস্তার উপর প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল রেখে বাড়িতে ঢোকে। তারা ৩০ হাজার নগদ টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে সেই গাড়িতে করেই চলে যায়। পরে আহত নির্মাল দাসকে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। খেদাপাড়া ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) শাহাবুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলের আশপাশের বাজারের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মণিরামপুর থানা অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) রজিউল্লাহ খান বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।