শেখ কাজিম উদ্দিন, বেনাপোল : ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হরিদাসপুর ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট দিয়ে রোনাল বড়ুয়া ওরফে শ্রাবণ বড়ুয়া নামে একজন বাংলাদেশী নাগরিককে বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ভারতের হরিদাসপুর আইসিপির পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।
ফেরত আসা রোনাল বড়ুয়া ওরফে শ্রাবণ বড়ুয়া বাংলাদেশের চট্টগ্রামের পদ্মুয়ার ভাগবানপুর সুকবিলাসের বাসিন্দা নেপাল বড়ুয়ার ছেলে।
ভারতে বিদেশী নাগরিকদের নিবন্ধনের দায়িত্বে থাকা এফপিআরও কলকাতার সুপারিশে এবং ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে ইস্যুকৃত নোটিশের ভিত্তিতে তাকে ভারতে থেকে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তণ করা হয়।
বেনাপোল-হরিদাসপুর আইসিপি-তে উভয় দেশের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে আইনি প্রক্রিয়ায় এই প্রত্যাবাসন সম্পন্ন হওয়ায় আন্তর্জাতিক সীমান্ত ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়টি আরও একবার স্পষ্ট হলো।
এ সময় ভারতের পক্ষে হস্তান্তরকারী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন অফিসার এবং বিএসএফ-এর ‘বি’ কোম্পানি ১৪৫ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট প্রতিনিধি। বাংলাদেশের পক্ষে গ্রহণকারী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন অফিসার-ইনচার্জ এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (৪৯ বিজিবি) কমান্ড্যান্ট প্রতিনিধি।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাকে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্নের জন্য বেনাপোল পোর্ট থানায় প্রেরণ করা হয়েছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফ জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার জন্য জাস্টিস এ্যান্ড কেয়ার নামের একটি মানবাধিকার সংসগঠন তাকে থানা থেকে গ্রহণ করেছেন।
এ বিষয়ে জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার যশোরের ফিল্ড ফেসিলেটেটর মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, তিনি ভিসা নিয়ে ভারতে গিয়েছিলেন। পরে তার পাসপোর্ট হারিয়ে ফেললে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযাগে পুলিশ আটক করে এবং বিহার সেন্ট্রাল জেলে প্রেরণ করে। অবশেষে ১৮ মাস জেলখেটে তিনি দু’দেশ সরকারের দেয়া ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে স্বদেশে প্রত্যাবর্তণ করে। বেনাপোল পোর্ট থানা থেকে স্বদেশে প্রত্যাবর্তণকারীকে গ্রহণ পূর্বক তার পরিবারের সদস্যদের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।