নিজস্ব প্রতিবেদক : হোমিও চিকিৎসক পরিচয় দিলেও রোগীদের অপারেশন করতেন এইচএসএম আব্দুর রব। চিকিৎসা দিতেন এলোপ্যাথিক ওষুধ দিয়ে। যশোর শহরের বঙ্গবাজারের দ্বিতীয়তলায় পাইলস কিউর সেন্টার খুলে রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছিলেন তিনি। বুধবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযানে আব্দুর রব হাতেনাতে আটক হয়েছেন। আদালত তাকে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
সিভিল সার্জন অফিস জানিয়েছে-যশোর পাইলস কিওর সেন্টারের এইচ এস এম আব্দুর রব ডাক্তার পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে চিকিৎসা প্রদান ও পাইলসের অপারেশন করে আসছিলেন। বুধবার দুপুরে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেন। ডাক্তারের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) আইন, ২০১০-এর ২২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আব্দুর রবকে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাক জরিমানা করেন।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বাসুদেব কুমার। এ সময় যশোরের সিভিল সার্জন ডা. মাসুদ রানা, যশোর মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক কলোরেক্টাল ও ল্যাপারোস্কপিক সার্জন ডা. মাহমুদুল হাসান পান্নু ও সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. রওশনারা লিজা উপস্থিত ছিলেন।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বাসুদেব কুমার জানান-এইচএসএম আব্দুর রব দাবি করেন, তিনি ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে হোমিওপ্যাথিক ডিএইচএমএস প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। এছাড়া তিনি কলকাতা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। অভিজ্ঞতার কারণে এলোপ্যাথিক উপায়ে তিনি ৩৫ বছর ধরে রোগীদের পাইলস অপারেশন করছেন। কিন্তু ডাক্তারের কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তাকে জেল-জরিমানা করা হয়েছে। নিজের ভুলের জন্য তিনি ক্ষমাও চান।
সিভিল সার্জন ডা. মাসুদ রানা জানান-এইচএসএম আব্দুর রব হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক পরিচয় দিলেও অবৈধভাবে এলোপ্যাথিক চিকিৎসা প্রদান ও পাইলসের অপারেশন করে আসছিলেন। অথচ তিনি এমবিবিএস ডিগ্রিধারী ডাক্তার নন। অভিযান চলাকালীন চিকিৎসাকেন্দ্রে মজুদ করা এলোপ্যাথিক ওষুধ ও অপারেশন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।