নিজস্ব প্রতিবেদক : ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা না নেয়ার অভিযোগ করেছেন ৬ প্রার্থী। এরমধ্যে মনোনয়নপত্র জমা না নেয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করেন তিন প্রার্থী।
এছাড়া ওই তিন প্রার্থীসহ ৬জন মনোনয়নপত্র জমাদানের সুযোগ চেয়ে সোমবার সন্ধ্যায় যশোর জেলা রিটার্নিং অফিসারের নিকট লিখিত আবেদন করেছেন। লিখিত অভিযোগে তারা দাবি করেছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এসেও তারা মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারেননি।
৬ প্রার্থী হলেন- জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য যশোর-৩ আসনের প্রার্থী খালেদ সাইফুল্লাহ, খেলাফত মজলিস যশোর জেলা সভাপতি যশোর-৩ আসনের প্রার্থী মাওলানা আব্দুল্লাহ ও মণিরামপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি যশোর-৫ আসনের প্রার্থী মাওলানা তবিবুর রহমান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি’র) যশোর-৪ আসনের প্রার্থী আবু মুছা, গণঅধিকার পরিষদের নেত্রী যশোর-৬ আসনের প্রার্থী জেসিনা মুর্শিদ প্রাপ্তি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতা যশোর-৪ আসনের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে গণঅধিকার পরিষদের যশোর-৬ কেশবপুর আসনের প্রার্থী জেসিনা মুর্শীদ প্রাপ্তী বলেন- ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা ছয়টি সংসদীয় আসনে ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দলের সংসদ সদস্য প্রার্থী। ২৯ ডিসেম্বর সোমবার মনোনয়ন জমা দেয়ার উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগে রিটার্নিং অফিসারের কক্ষে জমাদানের জন্য স্বশরীরে উপস্থিত থাকি। আমরা অপেক্ষমান থাকি আমাদের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার উদ্দেশ্যে। এমতাবস্থায় অন্যান্য বৃহৎ রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন সংগহ চলতে থাকি। বিকেল ৫টার রিটার্নিং অফিসারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সকলের মনোনয়ন গ্রহণ করা হবে। বিকেল ৫টা ৪০মিনিটে আমাদের জানানো হয় অপেক্ষমানদের মনোনয়ন গ্রহণ করা হবে না। কিন্তু আমরা দেখেছি ৫টা ৩৫ মিনিটেও রিটার্নিং অফিসার মনোনয়ন গ্রহণ করেছেন। তার বিশেষ কক্ষে ডেকে আমাদেরকে বলা হয় মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হবে না। তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি নিজে মুখে স্বীকার করেন বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিটেও মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেছেন। তাহলে আমাদের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হলো না কেন জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন- আপনাদেরটা গ্রহণ করা হবে না। এরপর আমরা রিটার্নিং অফিসার বরাবর দরখাস্ত করলে সেই দরখাস্ত গ্রহণ না করে তিনি অফিস থেকে বেরিয়ে যান। দপ্তর সহকারীকে বললে তিনি বার বার বলেন ব্যস্ত আছে, এই বলে আমাদের অপেক্ষা করতে বলে। কিন্তু আমাদের দরখাস্ত গুলি গ্রহণ করতে চাননি। কিছুক্ষণ পর তারা আমাদের চাপের মুখে বেরিয়ে এসে দরখাস্ত গ্রহণ করেন।
তারা মনে করেন সঠিক ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না। এই রিটার্নিং অফিসারের উপর আস্থা রাখতে পারছেন না।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন যশোর-৪ (বাঘারপাড়া ও অভয়নগর) আসনের গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী আবুল কালাম গাজী, জেএসডির প্রার্থী আবু মুসাসহ নেতৃবৃন্দ।