নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরে সৌদি রিয়াল প্রতারকচক্রের সদস্য বিপুল পেয়াদা আটক করেছে পুলিশ। বিপুল পেয়াদা গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার আইকদিয়া গ্রামের ইউনুস পেয়াদার ছেলে। এই ঘটনায় যশোর সদরের নরেন্দ্রপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জাকারিয়া হোসেন আটক বিপুল পেয়াদাসহ তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন।
অপর আসামিরা হলো- মুকসুদপুর উপজেলার একই গ্রামের মৃত আফতাব ফকিরের ছেলে ওবায়দুল ফকির ও তুলসীরামপুর গ্রামের জুয়েল মিয়া ওরফে সুমন।
মামলার অভিযোগে জানাগেছে, বাঘারপাড়ার মথুরাপুর গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে জাকারিয়া হোসাইন যশোর সদরের নরেন্দ্রপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। গত ১০ মে অপরিচিত তিন ব্যক্তির সাথে তার পরিচয় হয়। সৌদি আরব গেলে তারা তাকে কম দামে রিয়াল দেবে বলে জানায়। ১২শ’ সৌদি রিয়ালের পরিবর্তে তারা জাকারিয়ার কাছে ৫ লাখ টাকা চেয়েছিল। তাদের প্রস্তাবে রাজি হওয়ায় ১২ মে তারা মোবাইল করে জাকারিয়াকে শহরের খালধার রোডে যেতে বলে। জাকারিয়া খালধার রোডে গেলে আসামিরা তাকে সৌদি রিয়াল দেখায়। ব্যাংক থেকে ৫ লাখ টাকা উত্তোলন করার পর আসামিরা জাকারিয়াকে রিকসায় করে বিসিএমসি কলেজের সামনে পৌঁছে হাতে একটি ব্যাগ ধরিয়ে দিয়ে ৫ লাখ টাকা নিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে জাকারিয়া ব্যাগ ভর্তি কাগজ দেখে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারেন। দেখেন ওই ব্যাগের মধ্যে কোনো টাকা নেই, কাগজপত্র রয়েছে। এরপর থেকে জাকারিয়া ওই তিনজনকে খুঁজতে থাকেন।
৩০ ডিসেম্বর বেলা ১১ টার দিকে শহরের খালধার রোডস্থ আখপট্টির একটি চায়ের দোকানের সামনে আসামি বিপুলকে দেখতে পেয়ে লোকজন জড়ো করে তাকে ধরে ফেলে। পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিপুল পেয়াদাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আটক বিপুল রিয়াল দেয়ার কথা বলে ৫ লাখ টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে এবং পলাতক দুই সহযোগীর নাম পরিচয় জানায়। এই ঘটনায় জাকারিয়া হোসেন বাদী হয়ে ওই তিন জনের নামে কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা করেছেন। আটক বিপুলকে বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।