Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

কলারোয়ায় ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার, আটক ৪

এখন সময়: শনিবার, ১২ জুলাই , ২০২৫, ০৭:৫৬:১২ এম

শাকিলা ইসলাম জুঁই, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার গোয়ালচাতর এলাকা থেকে নিজাম উদ্দিন সরদার (৬২) নামে এক মুদি ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৯ জুন) রাত ২ টার দিকে উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের গোয়ালচাতর গ্রামের রাস্তা সংলগ্ন মোজামের বাড়ির পাশ থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। এঘটনায় অভিযান চালিয়ে কলারোয়া থানা পুলিশ ৪ জনকে আটক করেছে। নিহত নিজাম উদ্দিন উপজেলার গোয়ালচাতর গ্রামের ফকির সরদারের ছেলে।

নিহতের স্বজন ও পুলিশ জানায়, কাজীরহাট বাজারে নিজাম উদ্দিনের নিজাম স্টোর নামে একটি মুদি, বিকাশ ও ফ্লাক্সি লোডের দোকান রয়েছে। প্রতিদিনের মত মঙ্গলবার (২৮ জুন) রাতে দোকান বন্ধ করে সে বাড়ি ফিরছিল। কিন্তু রাতে তার আর বাড়ি ফেরা হয়নি। এলাকাবাসী রাত ১২ টার দিকে গোয়ালচাতর এলাকার প্রধান সড়কের পাশ্ববর্তী মোজামের বাড়ির পাশ থেকে পুলিশকে জানালে কলারোয়া থানা পুলিশ রাত ২ টার দিকে নিজাম উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

নিহতের ছেলে গোলাম রসুল জানান, তার পিতা কাজিরহাট বাজারে তাদের দোকান বন্ধ করে প্রতিদিনের মত ২ থেকে ৩ লাখ টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। দোকানে প্রায় চুরি হওয়ার কারণে মোবাইল বিকাশের লেনদেনকৃত টাকা দোকানে না রেখে বাড়িতে নিয়ে আসেন। মঙ্গলবার রাতে সে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। ওই দিন গোয়ালচাতর গ্রামের আব্দুস সামাদের বাড়িতে তার ছেলে সুমন, ভাই আব্দুল মাজেদ, মমিনুর ও স্ত্রী তহমিনাসহ আরও অনেকে পিকনিক করছিল। রাতে তার পিতা ওই এলাকা দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় তার পিতাকে দেখতে পেয়ে টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায় এবং মারপিট করে। পরে পুলিশ গোয়ালচাতর রাস্তার উপর থেকে তার পিতার মরদেহ উদ্ধার করে। দীর্ঘ দিন ধরে আব্দুস সামাদের স্ত্রী তহমিনা তাদের দোকান থেকে বিকাশে টাকা লেনদেন করতো। পুলিশ তাদেরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

কলারোয়া থানার ওসি (তদন্ত) হাফিজুর রহমান জানান, এলাকাবাসী ও ইউপি মেম্বারের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে রাত ২টার দিকে নিহত মুদি ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় গোয়ালচাতর গ্রামের আব্দুস সামাদের স্ত্রী তহমিনা বেগম, ছেলে সুমন ও তার ভাই আব্দুল মাজেদ ও  মমিনুরসহ ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তহমিনা বেগমের সাথে পরকিয়া ছিল নিজাম উদ্দিনের। মোবাইলে ওই রাতের ফোন কলে তহমিনার নাম্বার ডায়াল কলে উঠে আছে। সম্ভবত সে তহমিনাকে ফোন দিয়ে দেখা করতে যায়। এ সময় তহমিনার ছেলে সুমন, ভাসুর আব্দুল মাজেদ ও দেবর মমিনুর তাকে দেখতে পেয়ে ধাওয়া দিলে দৌড়ে পালানোর সময় কোন কিছুতে আঘাত পেয়ে তার মৃত্যু হতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসলে কি ভাবে তার মৃত্যু হয়েছে বিস্তারিত জানা যাবে।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)