Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

বাঘারপাড়ায় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ

এখন সময়: সোমবার, ৭ জুলাই , ২০২৫, ০৬:০৩:৪২ এম

বাঘারপাড়া প্রতিনিধি : যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার জহুরপুর ইউনিয়নে রাজাপুর গ্রামের হাবিবা খাতুন (২৫) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। হত্যা করে বিষয়টি আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার সকালে। মেয়ের পরিবারের অভিযোগ গৃহবধূ হাবিবার লাশ হাসপাতালে ফেলে স্বামীসহ স্বজনেরা পালিয়ে গেছে। নিহত গৃহবধূ হাবিবা বাঘারপাড়া উপজেলার রায়পুর গ্রামের জাকির হোসেনের মেয়ে। পরে যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে মেয়ের পরিবারের লোকজনদের হাতে হস্তান্তর করে যশোর কোতয়ালি থানা পুলিশ।  ঘটনার পর থেকেই স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে বলে নিহত হাবিবার পরিবারের অভিযোগ । 
হাবিবার পিতা জাকির হোসেন জানান, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি একই উপজেলার জহুরপুর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের সুরত আলীর ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী জনি হোসেনের সাথে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের পর দুই মাস যেতে না যেতেই শুরু হয় তাদের সংসারে কলহ । জনি হোসেন বিবাহের দুই মাস পরে মালয়েশিয়ায় আবার  চলে যান । এরমধ্যে গত ২৭ আগস্ট সে কাউকে না জানিয়ে বাড়িতে চলে আসেন । আসার মাত্র চার দিনের মাথায় হাবিবাকে জনি ও তার পরিবারের লোকজন মেরে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেন নিহতের পিতা ।
নিহতের  চাচি বলেন, জনির পরকীয়া জেরে খুন হয়েছে আমাদের মেয়ে। তিনি আরও বলেন হাবিবার স্বামী জনি হোসেনের সাথে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের এক গৃহবধূর পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে । জনি তার সব টাকা পয়সা বিদেশে থেকে ওই গৃহবধূর কাছেই পাঠাত। এমনকি সে হাবিবাকে না জানিয়ে মালয়েশিয়া থেকে দেশে এসেছে যা কেউ জানেনা কিন্তু ওই মহিলা সব জানে। এরপর ওই গৃহবধূর সাথে নিয়মিত  সময় কাটাতে থাকেন। যা নিয়ে হাবিবা ও জনির সাথে বিরোধ চলছিলো।
হাবিবার চাচাতো ভাই রায়হান জানান, হাবিবার একটি শিশু কন্যা রয়েছে। কিন্তু সে মেয়ের কি অবস্থা তারা এখনও পর্যন্ত জানে না।  যোগাযোগের চেষ্টা করলেও জনি ও তার পরিবারের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এছাড়া হাবিবার কোনো খোঁজও নেয়নি তারা। এ বিষয়ে জনির সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সম্ভাব হয়নি। এমনকি বাড়িতে যেয়েও তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। এদিকে, এই ঘটনার পর  যশোর কোতয়ালী মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। 
এ বিষয়ে বাঘারপাড়া থানার ওসি ফিরোজ উদ্দীন জানান, তাদের কাছে খবর এসেছে ওই নারী আত্মহত্যা করেছিলো পরে স্বামীসহ পরিবারের সদস্যরা তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেছে, পরের সংবাদ তিনি জানেন না। বিষয়টি নিয়ে নিহতের বাবার বাড়ি ও স্বামীর বাড়ির এলাকার লোকের মুখে মুখে রটে গেছে এটি আসলে হত্যা না কি আত্মহত্যা। নিহতের বাবা জানান বিষয়টি নিয়ে তিনি আইনের দারস্থ হবেন। 

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)