বাগেরহাটে খেলায় হামলাকারীদের বিচার দাবিতে সড়ক অবরোধ

এখন সময়: বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ , ২০২৪, ০৯:৩২:৩৪ পিএম

বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাট সদর উপজেলার সি এন্ড বি বাজার এলাকায় ফুটবল খেলার গোল নিয়ে বিরোধের জেরে হামলার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার দুপুরে খানপুর ইউনিয়নের সায়েড়া মধুদিয়া কলেজিয়েট স্কুলের সামনে এই বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। খবর পেয়ে বাগেরহাট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান। তাদের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা ঘরে ফিরে যায়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বিক্ষোভে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, ৪৯ তম গ্রীষ্মকালীন খেলাধূলার অংশ হিসেবে স্থানীয় কিছু বিদ্যালয়ের মধ্যে ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়। ৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে এই টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলায় ইছাময়ি মধুদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সায়েড়া মধুদিয়া কলেজিয়েট স্কুল প্রতিদ্বন্দিতা করে। নির্ধারিত সময়ে গোল না হওয়ায়, ট্রাইব্রেকারে পৌছায় খেলা। ট্রাইব্রেকারের শেষ পর্যায়ে দুই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। ট্রাইবেকারের শেষ শটে সায়েড়া মধুদিয়া কলেজিয়েট স্কুল গোল দিলে তা না মেনেই মধুদিয়া ইছাময়ি  মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের উপর চড়াও হয়। মধুদিয়া ইছাময়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও স্থানীয়দের হামলায় সায়েড়া মধুদিয়া কলেজিয়েট স্কুলের অন্তত ২৭ শিক্ষার্থী আহত  হয়।  ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও হামলার কোনো বিচার না হওয়ায় আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। উবায়দুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, কিছু বুঝে উঠার আগেই ইছাময়ি মধুদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা আমাদের উপর হামলা করে। তাদের হামলায় আমাদের ২৭ জন আহত হয়। একজনকে হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয়। সিয়াম নামের অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, ট্রাইবেকারের সময় গোল ঠেকালে আমাদের কোপানোর কথা বলে তারা এবং খেলা শেষে হামলা করে।

বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছি। শিক্ষার্থীদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। হামলার সাথে যদি বহিরাগত কোন ব্যক্তি জড়িত থাকে তার বিরুদ্ধে ফৌজধারি অপরাধে মামলা দায়ের করা হবে। এছাড়া শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের যদি অপরাধ থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন উপজেলার এই শীর্ষ কর্মকর্তা।