পিকআপের ভারে ভেঙে পড়া ব্রিজে ভোগান্তি ৬ গ্রামবাসীর

এখন সময়: বুধবার, ২৪ এপ্রিল , ২০২৪, ০৩:১৭:১৯ পিএম

জি এম আসলাম হোসেন, কপিলমুনি : খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনির নাছিরপুরে মাত্র ২৩ বছরে ধ্বসে পড়েছে খালের উপর নির্মিত ব্রিজটি। ১১ সেপ্টেম্বর দুপুরে মাছবাহী একটি পিকআপ ব্রিজের উপর উঠলেই হুড়-মুড়িয়ে মাঝ বরাবর ভেঙে পড়ে। ফলে ওই এলাকার ৬ গ্রামের মানুষের ভোগান্তি এখন চরমে।

বিস্তীর্ণ অঞ্চলের প্রায় ৩ কি.মি. দৈর্ঘ্যের নাছিরপুর খালের দু’পারে বসবাসকারী ৬ গ্রামের বাসিন্দার সার্বিক যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই ফুট ব্রিজ। দু’পারের বসবাসকারী ছেলে-মেয়েদের স্কুল-কলেজে যাতায়াত করতে ব্রিজটিই একমাত্র ভরসা। খালের এ পারে তালতলা ও পারে গোয়ালবাথান-চিনিমলা এপারে অবস্থিত বিস্তীর্ণ অঞ্চলের বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিক আর ওপারে ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত ১০ নম্বর জি.টি.চিনিমলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। এপারের বাসিন্দাদের চা খেতেও ওপারের দোকানগুলোর আশ্রয় নিতে হয়। এছাড়া লোনা পানি ও চিংড়ি অধ্যুষিত দ্বীপাঞ্চলের রোদে পোড়া বাসিন্দাদের জীবন-জীবিকার বেসাতিতে উপশহর কপিলমুনি কিংবা উপজেলা সদর পাইকগাছা পৌছাতে ভর করতে হয় এই ফুটব্রিজে। দুরন্তপনায় ডানা মেলে থাকা শিশুরা এ-পারে দাঁড়িয়ে ও-পারের শিশুদের খেলা করা দেখছে। সকালে স্কুলে যেতেও পারাপারের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। অনেকের আবার পৌছানো হয়নি প্রিয় বিদ্যাপীঠে।

জানাযায়, স্বল্প ব্যয়ে গ্রামীণ সড়কে পুল/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে ৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ২০ মিটার দৈর্ঘ্যের ফুট ব্রীজটি নির্মাণ করে। ঠিকাদার সৈয়দ মিনার হোসেন কার্যাদেশ পেয়ে ২০০০ সালের ১৫ মে এর নির্মাণ কাজ শেষ করেন। এদিকে ব্রীজটি নির্মাণের মাত্র ২৩ বছরে ভেঙ্গে পড়ায় এর নির্মাণ মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এলাকাবাসী খালের উপর পুন:ব্রীজ নির্মাণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি খুলনা-৬ এর সংসদ সদস্য আলহাজ আক্তারুজ্জামান বাবুর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

চিনামলা গ্রামের বাসিন্দা উপাধ্যক্ষ ত্রিদিব কান্তি মন্ডল বলেন, সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমল মতি শিশুদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাদের বিকল্প পথ হিসেবে দেড় কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেঁটে বিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে।

কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ কওছার আলী জোয়ারদার বলেন, খালের দু’পারে বসবাসকারী কয়েক গ্রামের বাসিন্দাদের যোগাযোগের মাধ্যম এই ফুট ব্রিজ। দু’পারের বসবাসকারী ও ছেলেমেয়েদের স্কুল-কলেজে যাতায়াত করতে ব্রিজটিই একমাত্র ভরসা। তাদের ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনা করে দুর্গাপূজার আগেই কাঠের পুল তৈরী করা হবে।

উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মোঃ হাফিজুর রহমান খান বলেন, কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে সমন্বয় করা হয়েছে। খুব দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম বলেন বিষয়টি শুনেছি ও জেনেছি সংশ্লিষ্টদের সাথে সমন্বয় করে ভেঙে যাওয়া ব্রিজের দ্রুত কাজ করার চেষ্টা করছি।