আলোচিত আছমার হাত থেকে রেহাই পেতে যুবকের সংবাদ সম্মেলন

এখন সময়: বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল , ২০২৪, ০৮:৩৪:৪৬ পিএম

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি: যশোর সদর উপজেলার ঘুণির শাখারিপাড়ার বহুলালোচিত মোছাঃ আছমা আক্তারের (৩৬) হাত থেকে রেহায় পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে মনিরুল ইসলাম নামের এক অসহায় যুবক। ওই নারীর মাদক ব্যবসা ও সেবন এবং এলাকায় আপত্তিকর কাজে বাধা দেয়ায় মিথ্যা মামলার ঘানি টানছে সে। সেই সাথে একের পর হচ্ছে ষড়যন্ত্রের শিকার। নিজের ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে নির্যাতন করে দিনের পর দিন ভাতের পরিবর্তের পশু খাদ্য খাইয়ে এবং এসিডে মুখ ঝলসে দিয়ে অসংখ্যবার পত্রিকার শিরোনাম হওয়া মামলাবাজ আছমার হাত থেকে রক্ষা পেতে নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মনিরুল ইসলাম মনির। তিনি দাবি করেন, অপকর্মের প্রতিবাদ করায় ওই নারী তাকে স্বামী দাবি করে আদালতে মিথ্যা মামলা করে হয়রানী করে আসছে।

গতকাল বুধবার দুপুরে নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মনিরুল ইসলাম বলেন, যশোর সদর উপজেলার ঘুনি গ্রামের আছমা আক্তার এলাকায় বেপরোয়া চলাফেরা করতেন। একটার পর একটা বিয়ে করে অর্থ আদায়ের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া মাদক সেবনের ফলে উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপন করতেন। এমনকি সে নিজের আপন চাচাতো বোনকে দেবরের সাথে বিয়ে দিয়ে চরম নির্যাতন করেন। তাকে দিনের পর দিন ভাতের পরিবর্তে পশু খাদ্য খেতে দেন এবং এসিডে মুখ ঝলসে দেন। এসব বিষয়ে এলাবাসীকে সাথে নিয়ে আছমার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে স্বামী দাবি করে আদালতে মামলা দায়ের করে। তাতেও ক্ষান্ত না হয়ে ডাকাতি ও ধর্ষণ মামলাও দায়ের করে। সে সব মামলায় তাকে জেলেও যেতে হয়। এসকল ঘটনায় এলাকাবাসী প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ করে আছমাকে এলাকা ছাড়া করে। পরবর্তীতে যশোর আদালত সংলগ্ন এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকেও সে একের পর এক ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। মিথ্যা মামলার ঘানি টানতে টানতে এবং নানা ষড়যন্ত্রের মুখে পড়ে আজ তিনি নিস্ব দাবি করে লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, বর্তমানে স্ত্রী সন্তান নিয়ে অভয়নগরের নওয়াপাড়ায় একটি ভাড়া বাসায় দিনমজুরি করে কোনোরকম জীবন যাপন করছেন। তিনি মামলাবাজ ভয়ংকর এ নারীর হাত থেকে পরিত্রাণ চেয়ে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত তার স্ত্রী জাহানারা বেগম বলেন, আমি এক যুগেরও বেশি সময় আমার স্বামীর সাথে সংসার করছি। তার চরিত্রে আজ পর্যন্ত খারাপ কিছু দেখিনি। একের পর এক বিয়ে করে অর্থ হাতানো ভয়ংকর ওই নারীর রোষানলে পড়ে আমাদের জীবন বিপন্ন করে তুলেছে। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মনিরুল ইসলাম মনিরের ছোট ভাই অন্তর আহমেদ, প্রতিবেশী  নাজিম উদ্দিন, মোঃ জামাল হোসেন ও তার শাশুড়ি তাহমিনা খাতুন।

এ ব্যাপারে আছমা বেগমের সাথে কথা বললে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মনিরুল ইসলাম নামের ওই যুবক তাকে বিয়ে করেছে। সে তার কাছ থেকে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। যার সকল তথ্য প্রমাণ তার কাছে আছে।