যশোরে প্রতিবাদ সমাবেশে হুশিয়ারি

আওয়ামী লীগ আজ ঐক্যবদ্ধ, শান্ত যশোরকে অশান্ত করতে দেয়া হবে না

এখন সময়: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল , ২০২৪, ০৮:৪৩:৫৮ এম

নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে কৃষকলীগের বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি  জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন বলেছেন নির্বাচন কমিশন আগামী ২৪ জানুয়ারি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে। এ ঘোষণার পর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা উদ্বিগ্ন হয়েছে পড়েছে। তারা বুঝতে পেরেছেন তাদের জনপ্রিয়তা নেই। এজন্য তারা ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আসতে চান। কিন্তু তাদের সে স্বপ্ন পূরণ কোনো দিনই হবে না। তিনি বলেন আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে দেশের অনেক উন্নয়ন করেছে। আর উন্নয়নের ধারাবাহিকতায়  বাংলাদেশ এখন বিশে^র রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। জনগন আবারো আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনবে।

বিএনপি জামায়াতের বিশৃংঙ্খলা সৃষ্টির  প্রতিবাদে  বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের দড়াটানা ভৈরব চত্বরে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধানবক্তা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এমপি বলেছেন, যশোরের মাটি আওয়ামী লীগ তথা জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘাটি। এই মাটিতে বিএনপি জামায়াতের অপতৎপরতা আর রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে জনগনের বিঘœ সৃষ্টি করতে পারে এমন কোন কর্মসূচি করতে দেয়া হবেনা। তিনি বলেন বিজয়ের মাসে রাজাকারদের প্রতিষ্ঠিত করতে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে আর এই সময়ে সারাদেশে মানুষও জেগে উঠেছে।  আজকে থেকে আমাদের পাহারা শুরু হবে এখান থেকে যেসব সন্ত্রাসী ঢাকা যাচ্ছে তাদেরকে চিহ্নিত করা  হবে। আওয়ামী লীগ আজ ঐক্যবদ্ধ তাই শান্ত যশোরকে অশান্ত করতে দেয়া হবেনা। তিনি বলেন আগামী নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধিনে। সেই নির্বাচনে বিএনপিও আসবে। 

শাহীন চাকলাদার বলেন  বিএনপি সমাবেশের নামে হেফাজতি কায়দায়  ঢাকা অবরোধ করবে আর আমরা ললিপপ খাবো তা হতে পারেনা। আওয়ামী লীগ,  ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, যুবলীগের ছেলেরা প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। তৃতীয় শক্তির হাতে ক্ষমতা দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করতে আন্দোলন করছে বিএনপি।

জেলা কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কাজী বাহাউদ্দীন ইকবালের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর জহুরুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মাহমুদ হাসান বিপু, সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বিপুল, জেলা যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম জুয়েল, জেলা কৃষকলীগের যুগ্ম সম্পাদক ফয়েজ আলম মনির, আনারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক তোরাব আলী, আসাদুজ্জামান আসাদ, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক মুজিবর রহমান, পৌর কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নাসিম উদ্দীন পলাশ, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ বাবু প্রমুখ। পরিচালনা করেন জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন।

সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, ইস্যু বিহীন আন্দোলন করে বিএনপি-জামায়াত কখনওই সরকার পতন করতে পারবে না। কারন তাদের আন্দোলন নৈরাজ্যের মাধ্যমে মানুষকে হত্যা করার কথা দেশের জনগন এখনও ভোলেনি। জনগন জানে বিএনপি জামায়াত কখনই তাদের ভাল চায় না। তারা জানেন জনগণের সরকার আওয়ামী লীগ সরকার। করোনা পরিস্থিতিতে বিশে^র উন্নত দেশগুলো যখন বিধ্বস্ত  ওই মুহুত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে বিনা মুল্যে টিকা দিয়েছেন। পাশাপাশি মানুষ যাতে না খেয়ে থাকে,সেজন্য সহযোগিতা করেছেন। একারনে আগামীতে জনগন আবারো ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগ  সরকারকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনবে।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বিএনপির সময় কৃষকরা যখন সার বিদ্যুতের জন্য আন্দোলন করেছে তখন তাদের গুলি করে হত্যা করা হয় । ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয় জিয়ার কুপুত্র তারেক জিয়ার নির্দেশে। সেই হামলায় আইভি রহমানসহ অনেক নেতার মৃত্যু হয়। নেতৃবৃন্দ হরতাল জালাও পোড়াও করে নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করা হলে দাঁত ভাঙা জবাব দেয়া হবে বলেও  ঘোষণা দেন।