Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

‘মায়ের ইচ্ছা পূরণে ছেলের পালকিতে বিয়ে’

এখন সময়: রবিবার, ৬ জুলাই , ২০২৫, ১২:৩৭:০৬ এম

এম আলমগীর, ঝিকরগাছা: বাঙালি সংস্কৃতিতে পালকি এক সময়ের খুবই জনপ্রিয় বাহন ছিল। বিয়ে-সাদি বা রাজা জমিদাররা কোনো জায়গায় গেলে বাহন হিসাবে পালকি ব্যবহার করত। কিন্তু কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে পালকি। ডিজিটাল যুগের ছেলে-মেয়েদের পালকি দেখিনি অনেকে। তাই পালকিতে বিয়ে করতে যাবে শুনে রাস্তার পাশে অধীর আগ্রহে বসে ছিল শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষ। পালকিতে বিয়ে করতে যেয়ে এলাকায় রীতিমত আড়োলন সৃষ্টি করেছে দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থানরত অনুপ কুমার মন্ডল। সে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার নির্বাসখোলা ইউনিয়নের সাদিপুর গ্রামের গণেশ কুমার মন্ডলের ছেলে।

জানা যায়, উপজেলার সাদিপুর গ্রামের গণেশ কুমার মন্ডলের মেজো ছেলে অনুপ কুমার মন্ডলের সাথে হাজিরবাগ ইউনিয়নের সোনাকুড় গ্রামের হিরেন্দ্রনাথ রায়ের বড় মেয়ে মাধবী লতা রায় মীমের বিয়ে ঠিক হয়। পারিবারিকভাবে শুক্রবার রাতে তাদের বিয়ে হয়। বাঙালির প্রাচীন সংস্কৃতির পালকিতে বিয়ে করতে যেয়ে রীতিমত হৈচৈ ফেলে দিয়েছে এলাকায়। পালকিতে বর, পাঁয়ে হেঁটে বরযাত্রী পটকাবাজি, আতশ বাজি ও ব্যান্ডদল নিয়ে বাজনা বাজাতে বাজাতে বিয়ে করতে যায়। এ সময় গ্রামের শিশু থেকে শুরু সর্বস্তরের নারীপুরুষ রাস্তায় পাশে দাঁড়িয়ে তাদের পালকিতে যাওয়ার দৃশ্য উপভোগ করেন। যাওয়ার সময় তারা সাদিপুর থেকে নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মধ্য দিয়ে সোনাকুড় কনের বাড়িতে যায় এবং শনিবার ফেরার সময় সোনাকুড় দক্ষিণ পাড়ার ও হাজিরবাগের মধ্য দিয়ে সাদিপুর ফিরে আসে। দীর্ঘদিন পরে পালকিতে বিয়ে করতে যাওয়া দেখে এলাকার মানুষ খুবই মজা পেয়েছে। শিশুরা পালকির সাথে সাথে অনেক দূর পর্যন্ত আনন্দ করতে গিয়েছে। গত দুইদিন ধরে পালকির বিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনায় রয়েছে।

নিশ্চিন্তপুর গ্রামের ফাহিম ও মাহিম নামের দুই শিশু জানায়, আমরা জীবনেও পালকি দেখিনি। পালকিতে বিয়ে করতে যাওয়া দেখে খুব মজা পেয়েছি।

এ ব্যাপারে বরের পিতা গণেশ কুমার মন্ডল জানান, আমার বাবা-মায়ের বিয়ে হয়েছিল পালকিতে। তাই আমার মায়ের ইচ্ছা তার যেকোন পোতা ছেলে পালকিতে বিয়ে করতে যাবে এবং নাতবউ পালকিতে করে আসবে। আমার মায়ের ইচ্ছার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে আমার ছেলের বিয়ের যানবাহন হিসাবে পালকি ব্যবহার করেছি।

বর অনুপ কুমার মন্ডল জানায়, আমার ঠাকুরমার ইচ্ছা পূরণ করার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়েতে পালকি ব্যবহার করা হয়েছে। আমি খুবই আনন্দিত এবং উচ্ছ্বাসিত। এই কারণে যে, প্রাচীন বাংলার ঐতিহ্য পালকি। ডিজিটাল যুগে প্রাচীণ বাংলার সংস্কৃতি তুলে ধরে আমি এলাকার মানুষকে পালকি দেখাতে পেরেছি। আমি পালকিতে বসে দেখছিলাম ছোট ছোট শিশুরা পালকি দেখে খুবই আনন্দ পাচ্ছিল। প্রাচীন বাংলার সংস্কৃতি তুলে ধরে আমার বিয়েতে পালকি আনায় পরিবারের প্রতি ধন্যবাদ জানান।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)