সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ করে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে নুরুল আমিন নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে দশ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম.জি.আযম এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণা সময় আসামি নুরুল আমিন পলাতক ছিলেন।
সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাজাপ্রাপ্ত নুরুল আমিন কলারোয়া উপজেলার গয়ড়া গ্রামের মৃত আব্দুল গনির ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, কলারোয়া উপজলো গয়ড়া গ্রামের মৃত আব্দুল গনির ছেলে নুরুল আমিন একই এলাকার আব্দুল জলিল, খলিল, রুহুল আমিন, খায়রুল, রিপনদের সহায়তায় ২০১২ সালে ৭ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে একই গ্রামের গোলাম রসুলের কন্যা জি. আর বালিকা দাখিল মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্রী মোছা. খাদিজা খাতুন ওরফে রিমাকে বাড়ির সামনে হতে অপহরণ করে। এরপর তাকে ধর্ষণ করলে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়। এ ঘটনায় ২০১২ সালরে ২৮ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ৩ টার দিকে খাদিজা খাতুন ওরফে রিমাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে। পরে কলারোয়ার হিজলদী গ্রামরে শিশুতলা বিজিবি চেকপোস্টরে পাশে বাঁশঝাড়ের ভিতর পলিথিন দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় তার লাশ ফেলে রেখে যায়। এ বিষয়ে রিমার পিতা গোলাম রসুল বাদি হয়ে ২০১২ সালের ৮ এপ্রিল কলারোয়া থানায় আসামি নুরুল আমিনসহ আব্দুল জলিল, খলিল, রুহুল আমনি খায়রুল ও রিপনের নামে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় আনা অভিযোগ আদালতে সাক্ষ্য, প্রমাণ ও নথি পর্যালোচনার ভিত্তিতে প্রমাণিত হওয়ায় নুরুল আমিনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস প্রদান করা হয়।