কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা কলারোয়া উপজেলায় ঘরের বাইরে তালা মেরে পেট্রোল ঢেলে আগুনে দগ্ধ করে স্বামী ও স্ত্রীকে হত্যা মামলার প্রধান আসমি গ্রেপ্তার হয়েছে। চলতি বছরের ২৭ মে দিবাগত রাতে আগুনে দগ্ধ হন ভ্যানচালক আব্দুল কাদের ও তার স্ত্রী শারমিন খাতুন এবং তাদের শিশু সন্তান ফাতেমা। মা-বাবা মারা গেলেও তাদের শিশু সন্তান প্রাণে বেঁচে যায়। শিশুটি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছে। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার মূল আসামি সবুজ হোসেনকে রোববার গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
র্যাব-৬ (সিপিসি-১ কোম্পানি) সাতক্ষীরার অভিযানিক দল ঝিনাইদহের মহেশপুরের মাটিলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। সোমবার সন্ধ্যায় র্যাব-৬ (সিপিসি-১ কোম্পানি) সাতক্ষীরার কোম্পানি কমান্ডার এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রেস বিজ্ঞতিতে জানানো হয়, ঘটনার পর থেকে মূল অভিযুক্ত সবুজ হোসেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার জেলার বনগ্রাম থানার কমলাপুর গ্রামের শাহাজাহান মন্ডল নামে এক ভারতীয় সহযোগীর আশ্রয়ে ছিলো। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার পর থেকে র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঝিনাইদহের মহেশপুর থেকে রোববার বিকেলে সবুজ হোসেনকে (২৫) আটক করে র্যাব-৬ (সিপিসি-১ কোম্পানি) সাতক্ষীরার অভিযানিক দল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক সবুজ হোসেন তার অপরাধ স্বীকার করে। তাকে সোমবার কলারোয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
গত ২৭ মে দিবাগত গভীর রাতে কলারোয়ার সীমান্তবর্তী চন্দনপুর গ্রামে ভ্যানচালক আব্দুল কাদেরের ঘরে তালা লাগিয়ে পেট্রোল ঢেলে একই পরিবারের ৩ সদস্যকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা চালায় দুর্বৃত্তরা। ঘরে ছড়িয়ে পড়া আগুনের লেলিহান শিখায় ভয়ানকভাবে দগ্ধ হওয়া আব্দুল কাদের, স্ত্রী শারমিন খাতুন ও একমাত্র সন্তান শিশু ফাতেমা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ অবস্থায় গত ১ জুন আব্দুল কাদের ও ১৪ জুন শারমিন খাতুন মারা যান। এই দম্পতির একমাত্র সন্তান দগ্ধ হওয়া শিশু ফাতেমা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসার পর এখন কিছুটা সুস্থ রয়েছে বলে জানা গেছে।