নিজস্ব প্রতিবেদক : শরতের স্নিগ্ধ সন্ধ্যা নেমেছে সবে; এরই মধ্যে একে একে জড়ো হয়েছেন একদল সাহিত্যপ্রেমী। মুহূর্তেই বাঙলা ভাষা সাহিত্যের শিক্ষক মোফাজ্জেল হোসেনের বৈঠকখানাটি হয়ে উঠেছে সরগরম। চলছে আলোচনা ও পাঠ প্রতিক্রিয়া। বিষয়বস্তু শালপ্রাংশু লেখক-কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়ের সেরা সৃষ্টিকর্মের একটি; উপন্যাস- ‘কবি’।
শহরের পুলিশ লাইন টালিখোলায় যশোর সরকারি মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোফাজ্জেল হোসেন ও সহকারী শিক্ষক সাবিনা ইয়াসমিন দম্পতির বাড়িতে এই পাঠচক্রের আয়োজন করে ‘সপ্তাহে একটি বই পড়ি’। ৩৬তম এই পাঠচক্রের শুরুতে জুঁই, মালতী, গোলাপ, গাঁদাসহ অসংখ্য ফুল ও প্রদীপের আলোয় সৃষ্টি হয় যেন ঐন্দ্রজালিক এক আবহ। মোহনীয় এমন পরিবেশে আলোচিত হয় ‘কবি’ উপন্যাসে বর্ণিত লাল মাটির দেশ বীরভূম, বর্ধমান অঞ্চলের বাউরী, ডোম, বাগদীদের মত ব্রাত্যজনদের কথা। পাঠ চক্রের একেক জনের কন্ঠস্বরে অনুরণিত হয় যেন ‘কবি’ উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র নিতাই চরণের ধ্বণি। পাঠচক্র বন্ধু সামিউল আলমের সঞ্চালনায় উপন্যাসটির ওপর বিশেষ আলোচনা করেন যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ভারতী রানী হালদার, মুখ্য আলোচক ছিলেন একই কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোফাজ্জেল হোসেন ও প্রথম আলোর যশোর প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম।
সপ্তাহে একটি বই পড়ির প্রতিষ্ঠাতা ও সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহ্জাহান কবীরের পৌরহিত্যে আলোচনায় অংশ নেন কবি শেখ জহিরুল ইসলাম জিতু, সমন্বয়ক কামরুজ্জামান, সুমন রেজা, বায়জিদ হোসেন, খন্দকার রুবাইয়া, নাজমা খাতুন, হামিদা হিমু, ফয়সাল মাহমুদ, হরিদাস বিশ্বাস, শিরিন সুলতানা, পাঠচক্র ২০২১ ও ২০২২ এর সদস্যবৃন্দ।