সবজি পেঁয়াজ ও আলুর দামে নাকাল ক্রেতা

মুর্শিদুল আজিম হিরু : বাজারে সবজি, আলু ও পেঁয়াজের দামে নাকাল ক্রেতা। চাল, ডাল, মরিচ, রসুন ও ভোজ্য তেলের দাম বেশি দামে স্থির রয়েছে। বৃহস্পতিবার শহরের বড় বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

বর্ষায় সবজির ক্ষতি হওয়ায় তার প্রভাব পড়েছে বাজারে। সবজির আমদানি কম হওয়ায় দাম যেন আকাশ ছোয়া। প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হয় ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা। ১০০ টাকা থেকে ১১০ টাকা কেজি বিক্রি হয় টমেটো। প্রতি কেজি উচ্ছে বিক্রি হয় ৮০ টাকা। ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হয় বরবটি। ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হয় ওল। প্রতি কেজি পটল বিক্রি হয় ৭০ টাকা। ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয় কুমড়া। প্রতি কেজি ঝিঙে ও কুশি বিক্রি হয় ৫০ টাকা। ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হয় ধেড়স। প্রতি কেজি পুই শাক বিক্রি হয় ৩০ টাকা। ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয় কলা। ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হয় কচুর লতি। প্রতি কেজি কচুর মুখি বিক্রি হয় ১০০ টাকা। ২৫ টাকা কেজি বিক্রি হয় পেঁপে। ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হয় কাঁকরোল। প্রতি কেজি শিম বিক্রি হয় ২০০ টাকা। ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হয় বাধা কপি। প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হয় ৪০ টাকা। ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হয় পালংশাক।

বাজারে প্রতি কেজি রুই মাছ বিক্রি হয় ১৮০ টাকা থেকে সাড়ে ৩৫০ টাকা। ২২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হয় কাতলা মাছ। প্রতি কেজি চিলবারকার্প মাছ বিক্রি হয় ১৬০ টাকা থেকে ২২০ টাকা। ২০০ টাকা থেকে ২২০ টাকা কেজি বিক্রি হয় মৃগেল মাছ। প্রতি কেজি কৈ মাছ  বিক্রি হয় ২০০ টাকা থেকে ২২০ টাকা। ২৫০ টাকা থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হয় শিং মাছ। প্রতি কেজি পাবদা মাছ বিক্রি হয় ৩০০ টাকা থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা। ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয় তেলাপিয়া মাছ। প্রতি কেজি পাংঙ্গাস মাছ বিক্রি হয় ১৫০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা।

বাজারে আবারও কেজিতে ৫ টাকা করে দাম বেড়েছে আলু ও পেঁয়াজের। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয় ৫০ টাকা । ৯০ টাকা কেজি বিক্রি হয় দেশি পেঁয়াজ। ৭৫ টাকা থেকে ৮০ টাকা থেকে কেজি বিক্রি হয় আমদানিকৃত পেঁয়াজ। প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হয় ১৬০ টাকা থেকে ২০০ টাকা।

বাজারে সরকার নির্ধারিত দাম পাওয়া যাচ্ছে ভোজ্য তেল। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হয় ১৭০ টাকা। আবার ১৭০ টাকা কেজি বিক্রি হয় খোলা সয়াবিন তেল।  প্রতি কেজি সুপার পাম তেল বিক্রি ১৪০ টাকা। ১৩৫ টাকা কেজি বিক্রি হয় পাম তেল।

বাজারে ঊর্ধ্বদামে অপরিবর্তিত আছে চাল। প্রতি কেজি স্বর্ণা চাল বিক্রি হয় ৪৮ টাকা থেকে ৫০ টাকা। ৫০ টাকা থেকে ৫২ টাকা কেজি বিক্রি হয় বিআর-২৮ চাল। প্রতি কেজি বিআর ৪৯-চাল বিক্রি হয় ৫০ টাকা থেকে ৫২ টাকা। ৪৮ টাকা থেকে ৫২ টাকা কেজি বিক্রি হয় বিআর-১০ চাল বিক্রি । প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হয় ৫৪ টাকা থেকে ৫৬  টাকা। ৬৬ টাকা থেকে ৬৮ টাকা কেজি বিক্রি হয় বাংলামতি চাল।

বাজারে ডালের দাম বাড়েনি। প্রতি কেজি দেশি মসুর ডাল বিক্রি হয় ১শ’৩০ টাকা। ১শ’১০ টাকা কেজি বিক্রি হয় আমদানিকৃত মুসুর ডাল। প্রতি কেজি ছোলার ডাল বিক্রি হয় ৯০ টাকা। ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা কেজি বিক্রি হয় বুটের ডাল। প্রতি কেজি মুগের ডাল বিক্রি হয় ১শ’ টাকা থেকে ১শ’৩০ টাকা।