আজ কবি বুনো নাজমুলের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী

এখন সময়: শনিবার, ২৭ জুলাই , ২০২৪, ০৬:২৩:০৪ এম

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক এম এম নাজমুল হক (কবি বুনো নাজমুল যশোরী) এর ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।  তিনি ১৯৪৭ সালের ১ মে তৎকালীন যশোর জেলার নড়াইল মহকুমার ১২ নম্বর বিছালী ইউনিয়নের চাকই গ্রামে মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। কবির পিতা মৃত এম  জিতু মোল্লা, মাতা মৃত বড়ু বিবি। কবি বুনো নাজমুল ১৯৬২ সালে খুলনার ফুলতলার পায়গ্রাম কসবা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। ১৯৬৪ সালে নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজ হতে আইএসসি ১৯৬৭ সালে যশোর মাইকেল মধুসূদন কলেজ হতে বিএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭২ সালে নওয়াপাড়া কলেজ অভয়নগর হতে বিএ ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে এমএ অধ্যয়ন করেন। মেধাবী এই শিক্ষাবিদ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা সংগ্রামের আহবানে সাড়া দিয়ে দেশমাতৃকার জন্য ১৯৭১সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন। তিনি ভারতের দেরাদুন জেলার টান্ডুয়া ক্যান্টনমেন্ট হতে মুজিব বাহিনীর উচ্চতর ট্রেনিং নিয়ে ৮ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেন। তিনি ছিলেন, ভৈরব-চিত্রার মাঝ অঞ্চলে একজন মুজিব বাহিনীর পলিটিক্যাল কমান্ডার। স্বাধীনতার পরে তিনি অভয়নগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ছিলেন, তিনি অভয়নগর উপজেলার ঘাদানিকের আহবায়ক ছিলেন। স্বাধীনতার পর থেকে কবি নাজমুল হক স্থায়ীভাবে গুয়াখোলা গ্রামে বসবাস করতেন। তিনি জেজে আই জুটমিলের সুপারভাইজার ছিলেন, তিনি নওয়াপাড়া এবং ফুলতলা কলেজে ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপনা করেছেন। বীরমুক্তিযোদ্ধা এমএম নাজমুল হক মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হিসেবে ১৯৯১ সাল থেকে ২ ডিসেম্বর হতে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি একজন কবি ও গীতিকার ছিলেন। তিনি অসংখ্য গান, কবিতা, গল্প ও প্রবন্ধ লিখেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কাব্য গ্রন্থ দুটি ‘মুক্তিবীণা ও ‘হৃদয়লীনা। তিনি ১৯৯৪ সালের ২৫ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে নওয়াপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি দুই স্ত্রী, চারপুত্র, দুই কন্যাসহ অনেক শুভাকাঙ্খী রেখে যান। তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হক স্মৃতি জনকল্যাণ গ্রন্থাগার চাকই বাশুয়াড়ী নড়াইলের উদ্যোগে আজ শনিবার বিকেলে কবির জীবনের উপর আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।