যশোরসহ বিভিন্নস্থানে ভাষা শহিদদের স্মরণ

এখন সময়: শনিবার, ২৭ জুলাই , ২০২৪, ০৮:৩৮:২১ এম

 

স্পন্দন ডেস্ক : মহান শহিদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে যশোরসহ বিভিন্নস্থানে গভীর শ্রদ্ধার সাথে ভাষা শহিদদের স্মরণ করা হয়েছে। প্রথম প্রহরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনসহ বুধবার দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়। বিস্তারিত প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্টে-

যশোর : শহিদ বেদীতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ, আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে যথাযথ মর্যাদায় যশোরে পালিত হয়েছে ২১ ফেব্রুয়ারি জাতীয় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। 

দিবসের সন্ধ্যায়  শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বলেছেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমমানকে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যেতে চেয়েছিল একাত্তরের পরাজিত শক্তি। তারা সেখানেই থামেনি, বাংলাদেশকে আবারও পাকিস্তান বানানোর আশায় ভাষার পরেও আঘাত হেনেছিল তারা। তার প্রমাণ ‘জয় বাংলাকে’ তারা বানিয়েছিল ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’, ‘বাংলাদেশ বেতারকে’ বানিয়েছিল ‘রেডিও বাংলাদেশ’ ইত্যাদি। এমন পরিবর্তনের মাধ্যমে তারা বাংলা ভাষার প্রাধান্য কমাতে চেয়েছিল। কিন্তু ভাষার জন্য রক্ত দেওয়া জাতিকে পেছনের দিকে নিয়ে যাওয়া এত সহজ নয়। এজন্য বারবার পরাজিত তারা।’

জেলা প্রশাসক আবরাউল হাছান মজুমদার এতে সভাপতিত্ব করেন। আরো বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন, যশোর পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গনি খান পলাশ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন, মুজিব বাহিনীর প্রধান আলী হোসেন মনি, উপপ্রধান রবিউল আলম, শিক্ষাবিদ ড. মোস্তাফিজুর রহমান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ভারপ্রপ্ত সভাপতি দীপংকর দাস রতন ও প্রেসক্লাব যশোরের সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান।

এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন মাতৃভাষা বাংলার জন্য আমাদের আত্মত্যাগের স্মৃতিকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। একুশে ফেব্রুয়ারি প্রতিটি বাঙালির জাতীয় জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এর সাথে জড়িয়ে আছে বাঙালির গৌরব ও বেদনার ইতিহাস। মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় তরুণ সমাজকে জীবন দিতে হয়েছিল বলে দিনটি বেদনায় নীল। পক্ষান্তরে ভাষা আন্দোলনের পথে বাঙালি তার স্বাধিকার অর্জনের সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়ে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হয়েছে বলে এ দিনটি জাতীয় জীবনে একান্ত গৌরবের।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা সাধন কুমার দাস ও শিক্ষক আহসান হাবিব পারভেজ। আলোচনা সভা শেষে দিবসটি উপলক্ষে শিশু একাডেমি আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার প্রদান করা হয়। পরে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। 

এর আগে যশোরের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পন করা হয়। একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সদর আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাসান মজুমদার, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ যশোর জেলা ইউনিট কমান্ডের পক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হোসেন মনি, বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.এইচ.এম মুযহারুল ইসলাম মন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন দোদুল, জেলা পরিষদের পক্ষে চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল, পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গণি খান পলাশ, সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে শহিদুল ইসলাম মিলন ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে প্রেসক্লাব যশোর, দৈনিক স্পন্দন, দৈনিক গ্রামের কাগজ পরিবার, দৈনিক কল্যাণ,  দৈনিক রানার পরিবার, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন (জেইউজে), সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোর, যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন, স্বাধীন আলো প্রমুখ।

এছাড়াও রাত থেকে সকালে বিভিন্ন সময়ে শহীদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপ-মহাপরিদর্শক আরিফুল ইসলাম। জেলা যুবলীগ, সদর উপজেলা যুবলীগ, শহর যুবলীগ, জেলা যুব মহিলা লীগ, সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ, সদর ও শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জেলা শ্রমিক লীগ, জেলা কৃষক লীগ, সৈনিক লীগ, কমিউনিস্ট পার্টি জেলা কমিটি, ওয়ার্কার্স পার্টি জেলা কমিটি, জেলা জাগপা, জেলা ছাত্রলীগ, জেলা আইনজীবী সমিতি, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ, জেলা নির্মাণ শ্রমিক লীগ, রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক লীগ, জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন, জেলা যুব মৈত্রী, জাকের পার্টি, সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পেশাজীবী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, পানি উন্নয়ন বোর্ড, তুলা উন্নয়ন বোর্ড, এলজিইডি, গণপূর্ত অধিদপ্তর, পাসপোর্ট অফিস, জেলা শিক্ষা অফিস, সদর উপজেলা শিক্ষা অফিস, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, জেলা নির্বাচন অফিস, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর, সিআইডি বিশেষ পুলিশ সুপার, পরিবেশ অধিদপ্তর, সেটেলমেন্ট অফিস, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, রেলওয়ে, বিএডিসি, বিআরটিএ, বিআরটিসি, বিটিসিএল, পল্লী বিদ্যুত, মৎস্য অফিস, ওজোপাডিকো, পিটিআই, আরডিআরএস, প্রাণি সম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট, কেন্দ্রীয় কারাগার, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, উপ-কর কমিশনারের কার্যালয় সার্কেল-৮, জেলা ঔষধ প্রশাসন, ডিস্ট্রিক্ট একাউন্টস্ এন্ড ফিনান্স অফিস, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, জেলা শিল্পকলা একাডেমী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট যশোরের সকল সাংস্কৃতিক সংগঠন, সরকারি মহিলা কলেজ, যশোর জিলা স্কুল, সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, ইনস্টিটিউট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মিউনিসিপ্যাল প্রিপারেটরী স্কুল, জেলা কিন্ডার গার্টেন স্কুল অ্যাসোসিয়েশন, এস.এম সুলতান ফাইন আর্ট কলেজ, গ্রীণ ল্যাবরেটরি স্কুল, নবকিশলয় স্কুল, টেকনিক্যাল এন্ড ম্যানেজমেন্ট কলেজ, বর্ণমালা বিদ্যাপীঠ, গ্রীণ ল্যাব স্কুল এন্ড কলেজ, মহিলা মাদ্রাসা।

বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, মহিলা বিষয়ক উন্নয়ন অধিদপ্তর, জাতীয় মহিলা সংস্থা, আর.আর.এফ, বাঁচতে শেখা, জয়তী সোসাইটি, উলাসী সৃজনী সংঘ, পোফ, গ্রামীণ ব্যাংক, নকশী কাঁথা অ্যাসোসিয়েশন, নাগরিক অধিকার আন্দোলন, ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতি, বিদ্রোহী সাহিত্য পরিষদ, শিশু হাসপাতাল, বিপিএমপি, রেজিষ্ট্রেশন বিভাগ, থিয়েটার ক্যানভাস, শিশু নিলয় ফাউন্ডেশন, এসসিডিও, ইনস্টিটিউট অব নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারী, এপেক্স ক্লাব, কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতি, বিট পুলিশিং কমিটি, জেলা মুদ্রণ শিল্প মালিক সমিতি, ইন্টারনেট ব্যবসায়ী সমিতি, অর্পণ মানব কল্যাণ সংস্থা, দি সালভেশন আর্মি, ঝুমঝুমপুর সমাজ কল্যাণ সংস্থা, আইইবি, স্বপ্নদেখো সমাজ কল্যাণ সংস্থা, ওয়েভ ফাউন্ডেশন, সনাতন ধর্ম সংঘ, স্বপ্নতরী, ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ, এম.এম.ডিএফ, মনপুরা বুটিক, মোটর সাইকেল ওয়ার্কশপ মালিক সমিতি, শার্শা কল্যাণ সমিতি, মাগুরা কল্যাণ ফোরাম, উদ্দীপন যশোর, প্রত্যাশা সমাজ কল্যাণ সংস্থা, ইউনিটি ক্লাব, এসসিডিও, ওএমএস ডিলার, জেলা ব্যান্ড অ্যাসোসিয়েশন, বৈদ্যুতিক দোকান মালিক কল্যাণ সমিতি, ভৈরব নার্সিং ইনস্টিটিউট, আইডিয়া পিঠা পার্ক ও আইডিয়া সমাজ কল্যাণ সংস্থাসহ যশোরের সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীবৃন্দ।

কেশবপুর

মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমি আয়োজনে শিশুদের চিত্রাঙ্কন,সুন্দর হাতের লেখা ও কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, শিশুদের অংশগ্রহণে আলোচনা, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেশবপুর শেখ মিনি রাসেল স্টেডিয়ামে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্বালন ও এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রথম প্রহরের সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে যশোর-৬ কেশবপুর সংসদ সদস্য মো. আজিজুল ইসলাম এমপি উদ্বোধন করেন। রাত ১২টা ১ মিনিটের একুশের প্রথম প্রহরের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শহিদদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বুধবার উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পরিষদের মিলনায়তনে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তুহিন হোসেনের সভাপতিত্বে ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বিমল কুমার কুণ্ডু এবং সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার প্রভাত কুমার রায়ের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সজিব সাহা। প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ কাজী রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম খোকন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এস,এম তৌহিদুজ্জামান,কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস,এম রুহুল আমিন, সহসভাপতি তপন কুমার ঘোষ মন্টু, কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জহিরুল আলম, কেশবপুর সরকারি পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের  অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার।

মহেশপুর

মহেশপুরে মহান শহিদ দিবসের  প্রথম প্রহরে শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় উপজেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তাবৃন্দ। এ সময় সংসদ সদস্য, উপজেলা আওয়ামী লীগ, পুলিশ প্রশাসন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, পৌর মেয়র, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি, মহেশপুর মডেল প্রেসক্লাব, মহেশপুর প্রেসক্লাব, উপজেলা ও পৌর বিএনপি, উপজেলা ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সকাল ৮ টার জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন সংসদ সদস্য সালাউদ্দীন মিয়াজীসহ বিভিন্ন কলেজ ও বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শরীফ শাওনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য সালাউদ্দীন মিয়াজী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ময়জদ্দীন হামীদ, সাবেক সংসদ সদস্য নবী নেওয়াজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাজ্জাদুল ইসলাম সাজ্জাদ, সাধারণ সম্পাদক মীর সুলতানুজ্জামান লিটন, পৌর মেয়র আব্দুর রশিদ খান, আওয়ামী লীগ নেতা আনিচুর রহমান টিপু, সাবেক পৌর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কাজী আব্দুস সাত্তার,মহেশপুর পৌর ল্যাব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এটিএম খাইরুল আনাম প্রমুখ।

খুলনা

একুশের প্রথম প্রহরে নগরীর শহিদ হাদিস পার্কে শহিদ মিনারে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ও মহানগর কমান্ড, কেসিসি’র মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বিভাগীয় কমিশনার মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ, কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মোজাম্মেল হক, রেঞ্জ ডিআইজি মঈনুল হক, জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, কেডিএ, জেলা পরিষদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও অংগ সংগঠন, শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ^বিদ্যালয়, খুলনা বেতার, আইনজীবী সমিতি, বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, খুলনা প্রেসক্লাব, চেম্বার অব কমার্স, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পেশাজীবী সংগঠন এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সাহিত্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ভবন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। ভোর হতে প্রভাতফেরী সহযোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শহিদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে। দুপুরে নগর ভবনে সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও  পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।

দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।

বাগেরহাট

একুশের প্রথম প্রহরে বাগেরহাটের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালিদ হোসেন, পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান, জেলা ও সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, বাগেরহাট প্রেসক্লাব, বাগেরহাট টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটিসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারী দপ্তর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল স্তরের মানুষ। দিবসটি উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল চিকিৎসা ও ওষুধ বিতরণ করেছে বাগেরহাট গ্রীন ল্যাব ডায়াগনস্টিক কনসালটেশন সেন্টার। শহরের মেইন রোড়ে বিএমএ ভবনে বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গ্রীন ল্যাবে কয়েক শ রোগীকে ফ্রি মেডিকেল চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ বিতরণ করা হয়। সন্ধ্যায় স্বাধীনতা উদ্যানে জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তৃতা করেন বাগেরহাট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. এ কে আজাদ ফিরোজ টিপু, আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মুকার্জী রবিন্দ্র নাথ, বাগেরহাট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আক্তারুজ্জামান বাচ্চু ।              

পাইকগাছা (খুলনা)

মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সারা দেশে শহিদ মিনারে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। তবে যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার না থাকায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা মিলে কলাগাছ বা ইট দিয়ে মিনার তৈরি করেন। ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে প্রভাতফেরির মাধ্যমে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।  তখন পাইকগাছা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ এক ব্যতিক্রমী শহিদ মিনারে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা রঙিন কাগজ দিয়ে তৈরি করেছে নান্দনিক এই শহিদ মিনার। রঙিন কাগজ  দিয়ে তৈরি নান্দনিক এই শহিদ মিনারে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করে এলাকাবাসীর নজর কেড়েছে শিক্ষার্থীরা। পাইকগাছা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে, শহিদ মিনার এখনও তৈরি করা হয়নি।

ফুলতলা (খুলনা)

একুশের প্রথম প্রহরে উপজেলা পরিষদ চত্বরের শহিদ মিনারে শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসনীম জাহান, ওসি মো. রফিকুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জেসমিন আরা, উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইয়াছির আরাফাত, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. সেলিম সুলতান প্রমুখ। এদিকে একুশের প্রথম প্রহরে ফুলতলার আসাদ রফি গ্রন্থাগারের শহিদ মিনারের বেদিতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, সিপিবি, প্রেসক্লাব ফুলতলাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও তাদের অঙ্গসংগঠন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। ফুলতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বুধবার সকালে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস মৃনাল হাজরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বিএমএ সালাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. তারেক হাসান মিন্টু, সদস্য বিলকিস আক্তার ধারা, কামরুজ্জামান নান্নু, আ. সাত্তার মামুন, এস কে আলী ইয়াছিন, শহিদুল্লাহ প্রিন্স, আশরাফুল আলম কচি, এস কে মিজানুর রহমান, এস রবীন বসু, মঈনুল ইসলাম নয়ন, সৈয়ত তুরাণ, ইদ্রিস আলী, মুশফিকুরর হমান সুজা, মেহেদী আনাম রঞ্জু, মিরাজুল ইসলাম বাধন প্রমুখ। শহিদআসাদ- রফি গ্রন্থাগার উদ্যোগে গ্রন্থাগার চত্বরে মঙ্গলবার সকালে চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি ও রচনা প্রতিযোগিতায় এবং ২১ বই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার বিকেলে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গ্রন্থাগার সভাপতি আব্দুল মোন্তাকিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র। অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আনওয়ারুজ্জামান মোল্যা। পরে অতিথিবৃন্দ চিত্রাংকন, আবৃত্তি ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করেন। সুর তরঙ্গ সংগীত একাডেমীর উদ্যোগে ফুলতলা সরকারি মহিলা কলেজ অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানের সভাপতি নওরোজ ফারাজী নিলুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আনওয়ারুজ্জামান মোল্যা। বিশেষ অতিথি ছিলেন সরকারি মহিলা কলেজের প্রভাষক হাবিবুর রহমান ও সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা ফজলে খোদা বাচ্চু।

ডুমুরিয়া (খুলনা)

ডুমুরিয়ায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রভাত ফেরী, শহিদবেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, জোবায়েদ আলী মিলনায়তনে কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ নুরুল আলম। উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এসএম কামরুজ্জামানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নূরুল ইসলাম মানিক, চন্দ্রকান্ত তরফদার, থানা অফিসার ইনচার্জ সুকান্ত সাহা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইনসাদ ইবনে আমিন, উপজেলা  শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আশরাফ হোসেন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সুব্রত বিশ্বাস, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা শেখ জাহিদুর রহমান, উপজেলা ইন্সটেক্টর মো. মনিরুজ্জামান প্রমুখ। ডুমুরিয়া সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির আয়োজনে প্রভাত ফেরী শেষে অস্থায়ী কার্যালয়ে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি কাজি আবদুল্লাহ। এ সময়  শহিদ দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য বিষয়ে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক আব্দুল লতিফ মোড়ল, অরুন দেবনাথ, সুব্রত কুমার ফৌজদার, এস রফিকুল ইসলাম, জি এম ফিরোজ, শেখ আব্দুস সালাম, গাজী আব্দুল কুদ্দুস, গাজী মাসুম, গাজী নাসিম, শেখ সিরাজুল ইসলাম, সুজিত মল্লিক প্রমুখ। উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ হোসেন জোয়ার্দার।

উপজেলা বিএনপির আয়োজনে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে দলীয় কার্যালয়ে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ হাফিজুর রহমান, চেয়ারম্যান শেখ দিদারুল ইসলাম দিদার, সদর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক খান আফজাল হোসেন, সদস্য সচিব খান শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। উপজেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে শহিদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ মন্ডল প্রমুখ। অপরদিকে উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের আয়োজনে র‌্যালি সহকারে শহিদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাব-রেজিস্ট্রার অঞ্জু দাস, সহকারী মাহবুর রহমান, মোহরার আলমগীর হোসেন, হাবিবুর রহমান, নজরুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান ও তপন তরফদার। এছাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালন করে।

দেবহাটা (সাতক্ষীরা)

দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলার শহিদ মিনারে প্রথম প্রহরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। পুষ্পমাল্য অর্পণ করে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, থানা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামীলীগ, দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাব, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, সরকারি কেবিএ কলেজ, দেবহাটা কলেজ, সরকারি বিবিএমপি হাইস্কুল, উত্তরন, বিভিন্ন সরকারি বেসরকারী সংগঠন।  পরে সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু ও ভাষা আন্দোলন বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ মুজিবর রহমান। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা অধীর কুমার গাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফ মোহাম্মদ তিতুমীর। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুস সাহাদাত নফর বিশ্বাস, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শফিউল বশার, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক রাশিদুল ইসলাম, দেবহাটা সরকারি বিবিএমপি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মদন মোহন পাল, দেবহাটা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনুপ কুমারসহ উপজেলা বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। পরে শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা এবং পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।

মাগুরা

মাগুরা সদরের আলোকদিয়া অমরেশ বসু ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ে শহিদ দিবস উপলক্ষে বুধবার সকালে প্রভাতফেরিতে অংশ নেয় অমরেশ বসু ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়, বগিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, বগিয়া মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ড, আলোকদিয়া পুকুরিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, আলোকদিয়া পুখরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এ মজিদ একাডেমী গৃহগ্রাম, পুখুরিয়া আলোকদিয়া দাখিল মাদ্রাসা, বগিয়া সুভাষিনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়,আলোকদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পুখুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রভাতফেরি শেষে শহিদদের স্মরণে শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে উপস্থিত বক্তৃতা, রচনা প্রতিযোগিতা, কুইজ ও কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় ৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। এ সময় প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ শরিফুল ইসলাম, অমরেশ বসু ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ে অধ্যক্ষ কাজী মোর্শেদ আলম, বগিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মীর রওনক হোসেন,বগিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জয়নুল আবেদিন, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। শহিদ দিবস উপলক্ষে আলোকদিয়া অমরেশ বসু ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ‘চেতনা’ নামে একটি সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশ করা হয়। শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রতিষ্ঠানের ইংরেজি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ও কবি শিকদার ওয়ালিউজ্জামান রিংকু ।  

শালিখা

শালিখা উপজেলা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হরেকৃষ্ণ অধিকারী ও উপজেলার অফিসারবৃন্দ। পরে পর্যায়ক্রমে মাগুরা ২ এর সংসদ সদস্য ড. শ্রী বীরেন শিকদারের পক্ষে নেতৃবৃন্দ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. কামাল হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, শালিখার প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিকস মিডিয়াতে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ, আড়পাড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, আড়পাড়া ডিগ্রি কলেজ, আড়পাড়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, আড়পাড়া সরকারি আইডিয়াল হাইস্কুল, শালিখা প্রেসক্লাব সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন।

আশাশুনি

আশাশুনিতে একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রনি আলম নূরের নেতৃত্বে উপজেলা পরিষদ এবং উপজেলা প্রশাসন, অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ এর নেতৃত্বে আশাশুনি সরকারি কলেজ, থানা অফিসার ইনচার্জ বিশ্বজিৎ কুমার অধিকারী এর নেতৃত্বে আশাশুনি থানা, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল হান্নানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামীলীগ এবং অঙ্গ সহযোগি সংগঠন, আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স, আশাশুনি মহিলা কলেজ, আশাশুনি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আশাশুনি প্রেসক্লাব, রিপোর্টার্স ক্লাব, সদর ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ, পূজা উদযাপন পরিষদ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্ঠান ঐক্য পরিষদ, ফ্রেন্ডস স্পোর্টিং ক্লাব, আশাশুনি বাজার বণিক সমিতিসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন। এরপর বুধবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি, আধা-সরকারী, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান সমূহের ভবনে ও বে-সরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতভাবে উত্তোলন, প্রভাত ফেরী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণ, যোহরবাদ ভাষা আন্দোলনে শহিদের রূহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা পরিচালনা করা হয়। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষ থেকে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে।

রূপসা

রূপসা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রথম প্রহরে শহিদ বেদীতে পুষ্প মাল্য অর্পণ, সকালে প্রভাতফেরী ও দিনব্যাপী নানা আয়োজনে দিবসটি উদযাপন করা হয়। উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় জুম কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা-৪ আসনের নব নির্বাচিত সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী। রূপসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কোহিনুর জাহানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন রূপসা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল উদ্দীন বাদশা, উপজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শেখ শফিকুল ইসলাম, রূপসা থানা অফিসার্স ইনচার্জ মো. শওকত কবীর। বক্তৃতা করেন কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম, প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার মজুমদার, মৎস্য কর্মকর্তা বাপী দাস, উপজেলা প্রকৌশলী এসএম ওয়াহিদুজ্জামান, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. বজলুর রহমান, নির্বাচন কর্মকর্তা মুরাদ হোসেন, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা তারেক ইকবাল আজিজ প্রমুখ। তাছাড়া রূপসা প্রেসক্লাবের আয়োজনে ক্লাব মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন রূপসা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম মাহবুবুর রহমান। সাধারণ সম্পাদক  খান আ. জব্বার শিবলীর সঞ্চালনায় বক্তৃতা করেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ গোপাল সেন, তরিকুল ইসলাম ডালিম, কোষাধ্যক্ষ তৌহিদুল ইসলাম কচি, সদস্য আল মাহমুদ প্রিন্স, আবু হারুনার রশিদ, বেনজির হোসেন, আক্তার খান, চিত্ত রঞ্জন সেন, নাইমুজ্জামান শরীফ, রেজাউল ইসলাম তুরান প্রমুখ।