নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নাটক ‘ঠাকুর ঘরে কে রে’ মঞ্চস্থ হয়েছে। থিয়েটার ক্যানভাস আয়োজিত দক্ষিণ এশীয় নাট্যোৎসবের প্রথম দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার নাট্যদল নাটুকে থিয়েটার গ্রুপ এটি মঞ্চস্থ করে।
নাটক শুরুর আগে সন্ধ্যা ৭ টায় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ভাইয়া গ্রুপের সিনিয়র ম্যানেজার সোনিয়া পারভীন ও বিশিষ্ট সাংবাদিক ও ছড়াকার সাজ্জাদ গনি খাঁন রিমন। সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ ইকবাল হোসেন।
‘ঠাকুর ঘরে কে রে’ মার্ক ক্যামোলেটি রচিত এই নাটকটির অনুবাদ করেছে ও নির্দেশনা দিয়েছেন আল-নোমান। দেড় ঘণ্টার নাটকে অভিনয় করেন ৮ শিল্পী। নাটকে অভিনয় করেছেন আল নোমান, মাহবুব, অপ্সরা মনি, শ্যামল, মানিসা অর্চিও মুন।
নাটকে স্যামুয়েল ফন্দি আঁটে যে সে তার স্ত্রী জ্যাকলিনকে অনেকটা জোর করেই জ্যাকলিনের মায়ের কাছে পাঠিয়ে দিয়ে তার সুপার মডেল প্রেমিকা সুজেনের জন্মদিন পালন করবে। এবং তাকে নিয়ে ৩ দিন একসঙ্গে নিজের বাড়িতে কাটাবে। পাছে জ্যাকলিন এর হাতে ধরা পড়ে যায়’ সেই ভয়ে তার পুরনো হাবাগোবা বন্ধু প্যাট্রিককে হংকং থেকে আমন্ত্রণ জানায়।
রান্নার কাজে যাতে কোনো সমস্যা না হয় তার জন্য ক্যাটারিং সার্ভিস থেকে একজন মেয়ে বাবুর্চি ভাড়া করে। যার ডাক নামও সুজি। আসল নাম সুজিত। জ্যাকলিন যখন মায়ের বাড়ি যাবার জন্য বের হতে যায়, ঠিক তখনি একটা ফোনে একটা কল আসলে রিসিভ করে জানতে পারেÑ এজেন্সি থেকে সুজি নামের একজন মেয়েকে তার স্বামী ভাড়া করেছে। এবং সে রওনা দিয়েছে। তার মনে খটকা লাগে। স্যামুয়েল কেন মেয়ে বাবুর্চি ভাড়া করার কথা গোপন করলো। স্যামুয়েল এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গেলে এটাও ফাঁস হয়ে যায় যে, কিছুক্ষণের মধ্যে তার পুরনো প্রেমিক প্যাট্রিকও প্রায় এসে পড়ছে। এবং সেটাও স্যামুয়েল ওর কাছে গোপন করে রেখেছে। স্যামুয়েল গাড়ি বের করতে গেলে প্যাট্রিক এর ফোন এলে তার সাথে কথা বলে প্যাট্রিক এর আসার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে গেলে সে তার মাকে ফোন করে উল্টো চাল দেয় এবং মায়ের বাড়ি যাওয়া বাতিল করে দেয়।
এদিকে একে একে বাবুর্চি সুজি, স্যামুয়েল এর প্রেমিকা সুজি, প্যাট্রিক এসে পড়লে স্যামুয়েল একটা জগাখিচুড়ি পরিস্থিতিতে পড়ে যায় এবং একটার পর একটা দম ফাটানো হাসির ঘটনা ঘটতে থাকে। যার মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যায় ঘটনাপ্রবাহ।