নিজস্ব প্রতিবেদক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যতের নেতৃত্বের জন্য শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। দেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট ও ডিজিটাল হচ্ছে। টেকসই উন্নয়নের জন্য এসডিজির ১৭ টি সূচক চলমান রয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশুমৃত্যুর হার সকল সূচকে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে। প্রান্তিক মানুষকে বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা, দুস্থভাতা, ভিজিএফ কার্ড আওতায় এনে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীকে শক্তিশালী করা হয়েছে। শেখ হাসিনা দেশবাসীকে উপহার হিসেবে স্বপ্নের পদ্মাসেতু নির্মাণ করে দিয়েছেন। পায়রা সমুদ্র বন্দর, মেট্রোরেল, পদ্মাসেতুর সাথে নতুন রেল যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। বিএনপি-জামায়াতের আমলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ৩২০০ মেগাওয়াট সেটা বেড়ে বর্তমানে ২৫ হাজার মেগাওয়াটে উন্নতি হয়েছে। সাধারণ মানুষের মাথাপিছু আয় আগে ছিল ৬০০ মার্কিন ডলার। বর্তমানে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়ে ২৭০০ মার্কিন ডলার। দেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। তাই দেশবাসী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাশীল। শেখ হাসিনার বিকল্প হিসেবে কেউ নেই’।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সংসদের দিনের কার্যপ্রণালীর প্রথমধাপে রাষ্ট্রপতির ভাষণে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, ‘শেখ হাসিনা অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে করোনা ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের সময়ে দেশ পরিচালনা করেছেন। দেশবাসী কোনো ধরনের সংকটে পড়েনি। তার উপযুক্ত নেতৃত্বে যশোরও উন্নয়ন-অগ্রযাত্রার প্রথমধাপে রয়েছে। যশোরে ভৈরব নদ খনন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, শেখ হাসিনা সফটওয়্যার পার্ক, আধুনিক বিমানবন্দর, সিক্সলেন হাইওয়ে ও পদ্মাসেতুর সাথে যশোর থেকে সরাসরি রেল সংযোগের ব্যবস্থা করেছেন। ঢাকা ও চট্টগ্রামের পরে যশোরের অবস্থান হবে। ইপিজেটগুলো চালু হলে যশোর হবে দেশের তৃতীয় অর্থনৈতিক জোন। দেশের এসব উন্নয়ন বিএনপির-জামায়তের সহ্য হয় না। তারা দেশকে পিছনে নিয়ে যেতে চায়। তাদের উদ্দেশ্যে সব সময় ধ্বংসযজ্ঞ করা। চলন্ত বাসে আগুন দিয়ে যশোরের ঘোপের পপলু ও মাইশার (পিতা ও মেয়ে) হত্যা করেছিল বিএনপি-জামায়াত। গত সংসদ নির্বাচনের আগে তারা পুলিশ হত্যা করে দেশে মানুষকে আতঙ্কিত করে। সাধারণ মানুষ বিএনপি-জামায়াতের চেহারা চিনে ফেলেছে। কোনো নির্বাচনে দেশবাসী তাদের আর ভোট দেবে না। দেশবাসীর একমাত্র আস্থার ঠিকানা শেখ হাসিনা’।
কাজী নাবিল আহমেদ তার বক্ত্যবের শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ‘৭৫ এর আগস্টের সকল শহিদ, মহান মুক্তিযুদ্ধের নিজের জীবন বিলিয়ে দেয়া ৩০ লাখ শহিদ, আড়াই লাখ মা-বোন সবাইকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। এছাড়াও ভাষা শহিদ ও তার পিতা কাজী শাহেদ আহমেদকেও স্মরণ করেন। আর টানা চতুর্থবার ও মোট পঞ্চমবারের মত প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় শেখ হাসিনা অভিনন্দন জানান। যশোর-৩ আসন থেকে টানা তৃতীয়বারের মত তাকে নৌকা প্রতীক দিয়ে সংসদ সদস্য হওয়ার সুযোগ দেয়ার প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।