ফুলতলা (খুলনা) প্রতিনিধি: ফুলতলা উপজেলায় ৪ ইউনিয়নে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কোরবানির জন্য ব্যস্ত সময় পার করেছেন। উপজেলায় ছোট বড় মিলে দুগ্ধজাত ও মোটাতাজা করণ খামার রয়েছে প্রায় ৫১০ টির উপরে এবং ছাগল ও ভেড়ার খামার রয়েছে ৩ শতাধিক। এসব খামারে ঈদুল আযহা উপলক্ষে বিক্রির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ৩ হাজার ১শ’ ৫৪ গবাদি পশু। যা চাহিদার তুলনায় বেশি।
খামারিরা জানিয়েছে, রাসায়নিক খাবারের পরিবর্তে খামারের পশু গুলোকে প্রাকৃতিক খাবার ভূসি, খৈল ও খাস খাইয়েই মোটাতাজা করণ করা হচ্ছে। উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস সূত্র জানায়, চলতি বছর ফুলতলা উপজেলায় কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় ২ হাজার ৮শ’। কিন্তু বিক্রির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ৩ হাজার ১শ’ ৫৪ পশু। ফলে এবার চাহিদা মিটিয়ে পাশর্^বর্তী হাট বাজারে সরবরাহ করা শুরু হয়েছে। উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে অনলাইনেও প্রচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এছাড়াও ব্যক্তিগত পর্যায়ে গ্রাম গঞ্জের প্রায় বাড়িতে ১ থেকে ৫টি গরু, ছাগল ও ভেড়া বিক্রির জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
খামারি বাবলু বিশ^াস জানান, বেশ কিছু দিন পূর্ব থেকে শুরু করে কোরবানির পশু তৈরি করার কাজ শেষ পর্যায়ে। বেচা বিক্রিও চলছে। আগামী ৫ দিন পর ঈদ। ফুলতলায় যে পরিমাণ দেশি পশু প্রস্তুত রয়েছে তা দিয়ে ফুলতলা উপজেলার সকল মানুষের কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।
খামারিরা জানান, পশুদের খাবার হিসেবে কাঁচা ঘাস, ভূট্রা, খৈল ও ধানের কুড়াসহ প্রকৃতি খাবার দিয়ে কোরবানির গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। ফলে পশু খাদ্যের দাম তুলনামূলক একটু বেশি হওয়ায় পশুর দামও একটু বেশি। প্রকৃতপক্ষে খামারিরা খরচ অনুযায়ী সঠিক মূল্য পাচ্ছে না।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. সুমাইয়া ইয়াসমিন জানান, কোরবানি উপলক্ষে ইতোমধ্যে আমরা অনলাইনের মাধ্যমে প্রচার শুরু করেছি। ফুলতলায় সপ্তাহে রোববার ও বুধবার নিয়মিত হাট বসে। চাহিদার চেয়েও অতিরিক্ত পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। উপজেলার চাহিদা মেটানোর পরও বাইরে সরবরাহ করা হচ্ছে।