নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদে যশোরে সড়ক দুর্ঘটনা, ট্রেনে কেটে ও বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন যশোরের শার্শা উপজেলার পশ্চিম কোটা দক্ষিণপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে ভ্যান চালক আল আমিন (২৪), ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া ইউনিয়নের বড় খলসি গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী রাজু হোসেন (২৭) মুকুন্দপুর গ্রামের মৃত বাবুর আলীর স্ত্রী ছহিরননেছা (৭০), সদর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের করীম মোড়লের ছেলে রবিউল ইসলাম (৪০) ও চুয়াডাঙ্গার দর্শনা উপজেলার নতুন বাজার এলাকার মোশারফ হোসেনের ছেলে শরিফুল ইসলাম সেন্টু (৬৫)।
জানা গেছে, ১৯ জুন (বুধবার) বিকেলে আল আমিন অটোভ্যান চালিয়ে বাগআঁচড়া বাজারের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে জামতলা মবিল ফ্যাক্টরি এলাকায় পৌঁছালে পাট বোঝাই একটি ট্রাক ( যশোর-ট ১১-০২৭৯) ভ্যানে ধাক্কা দেয়। দুর্ঘটনায় ভ্যানচালক আল আমিন ঘটনাস্থলে নিহত হন।
একই দিন সকাল ১০ টার দিকে যশোর রেলস্টেশন এলাকায় কেটে কেটে মারা যান শরিফুল ইসলাম। তিনি রাজশাহীগামী চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনে ওঠার সময় অসাবধানতাবশত পড়ে যান। এসময় তার শরীরের একাংশের ওপর দিয়ে ট্রেন চলে যায়। উপস্থিত লোকজন তাকে জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
একই দিন বেলা ১১ টার দিকে রবিউল ইসলাম বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যান। ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে
ফ্যান মেরামত করার সময় হঠাৎ বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত হন। পরিবারের লোকজন হাসপাতালে আনলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, ঈদের পরের দিন দুপুর দেড়টার দিকে মালয়েশিয়া প্রবাসী রাজু ও তার বন্ধু হুসাইন মোটরসাইকেলযোগে বাঁকড়া বাজারের দিকে আসছিল। এসময় টায় বাঁকড়া মুকুন্দপুর নতুন বাজার সংলগ্ন রাস্তায় গেলে রাজু মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচারী বৃদ্ধা ছহিরননেছাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে বৃদ্ধা মারা যান। স্থানীয়রা দুই বন্ধুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনার পথে রাজুর মৃত্যু হয়। গুরুতর আহতাবস্থায় হুসাইন হাসপাতালের সার্জারী ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
রাজু দেড় মাস আগে মালয়েশিয়া থেকে নিজ বাড়িতে বেড়াতে আসেন। ১ মাস আগে তিনি বিয়ে করেছিলেন বলে জানা গেছে।