মিরাজুল কবীর টিটো : এইচএসসি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্নের জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ১১টি সতর্কতামূলক নির্দেশনা দিয়েছে যশোর শিক্ষা বোর্ড। নির্দেশনা অনুসরণ করে পরীক্ষা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে তাদের। বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ^াস শাহীন আহমেদ সাক্ষরিত এই নির্দেশনা বোর্ডের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, পরীক্ষা কক্ষে পরীক্ষার্থীদের সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) ও রচনামূলক (সিকিউ) পরীক্ষার উত্তরপত্র একই সাথে সরবরাহ করতে হবে। সময় ও নম্বর বিভাজন অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। কেন্দ্রে সংযুক্ত ট্যাগ অফিসার কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা তার মনোনীত প্রতিনিধিকে নিয়ে ট্রেজারি বা থানা অথবা নিরাপত্তা হেফাজত থেকে প্রশ্নপত্র গ্রহণ করবেন। পরীক্ষা শুরুর আগে ট্যাগ অফিসার, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং পুলিশ কর্মকর্তার উপস্থিতি ও স্বাক্ষরে বিধি অনুসরণ করে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলতে হবে।
নির্দেশনায় আরো বলা হয়, প্রশ্নপত্রের প্যাকেটের ওপরে সেট কোড, বিষয় ও বিষয় কোড সম্পর্কিত তথ্য নিশ্চিত হতে হবে। সিকিউরিটি প্যাকেট খোলার পরও আরো একবার সেট কোড, বিষয় ও বিষয় কোড যাচাই করে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলতে হবে। প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলার পরও পুনরায় বিষয় ও বিষয় কোড সঠিক আছে কি না তা যাচাই করে পরীক্ষা কক্ষে প্রশ্নপত্র পাঠাতে হবে। প্রতিদিনের পরীক্ষা শেষে নিকটবর্তী কেন্দ্রগুলি ওই দিনই বাহক মারফৎ প্রেরণ করতে না পারলে জরুরি ভিত্তিতে ডাক বিভাগ বা রেলওয়ে পার্সেলের মাধ্যমে বোর্ডে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, পরীক্ষা শেষে লিখিত উত্তরপত্র, নৈর্ব্যক্তিক উত্তরপত্র ও টপ কভার কোনো ভাবেই ট্রেজারি বা থানা অথবা ব্যাংকে সংরক্ষণ করা যাবে না। প্রতিবন্ধী ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন (অটিস্টিক এবং ডাউন সিনড্রোম বা সেরিব্রালপল্সি আক্তান্ত) পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র ‘হলুদকাপড়ে’ এবং বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র ‘লাল কাপড়ে’ প্যাকিং করে আলাদাভাবে প্রেরণ করতে হবে।
নির্দেশনা অনুযায়ী, লিখিত উত্তরপত্র, নৈর্ব্যক্তিক উত্তরপত্র এবং টপ কভার পরীক্ষা শেষে ওই দিনই আকাশি রংয়ের কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে যথাযথ ঠিকানায় প্রেরণ করতে হবে। এক্ষেত্রে ইংরেজি ভার্সন পরীক্ষার্থীদের শুধুমাত্র লিখিত উত্তরপত্র আলাদা করে প্রেরণ করতে হবে এবং মোড়কের উপর ‘ইংরেজি ভার্সন’ কথাটি লিখতে হবে। পরীক্ষা চলাকালীন এবং পরীক্ষা অনুষ্ঠানের পূর্বে বা পরে পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ও পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি ব্যতীত অন্যদের প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে।
পরীক্ষার সময় কেন্দ্রে প্রবেশকারী অননুমোদিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রে কক্ষ প্রত্যবেক্ষক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করবেন। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বোর্ড থেকে পাঠানো গোপন বিবরণী ফরম পূরণ করে প্রতিষ্ঠানের প্যাডে আলাদা ‘ফরোয়ার্ডিং’ করে সকল কাগজপত্র উত্তরপত্রের সাথে একসাথে ‘লাল কাপড়ে’ প্যাকিং করে বোর্ডে পাঠাবেন।