মারুফ কবীর: যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার (জেডিএসএ) নির্বাচনের কেনো অগ্রগতি নেই। নির্বাচন স্থগিত হওয়ার ২ মাস অতিবাহিত হলেও নির্বাচনের বিষয়ে কার্যত পদক্ষেপ নেননি দায়িত্বশীলরা। এদিকে, দ্রুত নির্বাচনের দাবি করেছেন ক্রীড়া সংগঠকরা। যাতে স্থবির হওয়া খেলাধুলা আবারও মাঠে ফেরে। এজন্য স্থগিত হওয়া নির্বাচন যাতে জলদি হয় সে বিষয়ে এডহক কমিটির প্রতি আহবান জানিয়েছেন তারা। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও এডহক কমিটির আহবায়ক আবরাউল হাছান মজুমদার বলেন, দেশের পরিস্থিতি ভালো হলে দ্রুত নির্বাচনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। গত ২ মে যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কমলেশ মজুমদার। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১২ জুন চার বছর মেয়াদি নির্বাচন হওয়ার কথা ছিলো। তবে ২৯ মে নির্বাচন কমিশনার এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নির্বাচন স্থগিত করে দেন। একই সাথে জানানো হয়, জেলা ক্রীড়া সংস্থার থেকে যে খসড়া ভোটার তালিকা সরবরাহ করা হয়েছিল তা পূর্ণাঙ্গ নয়। পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকা পাওয়ার পর আবার নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু করা হবে। যে পর্যায় থেকে নির্বাচন কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে সেই পর্যায় থেকে আবারও নির্বাচন কার্যক্রম শুরু হবে। মুলত ক্রীড়া সংগঠক আসাদুজামান মিঠু জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন ভোটার তালিকা যথাযথ হয়নি। এ আবেদনের পরিপেক্ষিতে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। তবে, ২ মাস অতিবাহিত হলেও নির্বাচনের বিষয়ে কেনো অগ্রগতি চোখে পড়ছেনা। নির্বাচন কমিশনার ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কমলেশ মজুমদার বলেন, যে অভিযোগির পরিপেক্ষিতে নির্বাচন স্থগিত হয়েছে, সেটা সমাধান হয়নি। সমাধান হলে দ্রুত নির্বাচন দেয়া হবে।
যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থায় কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি। দায়িত্বশীলরা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কাউন্সিলারদের নামের তালিকা যথা সময়ে নির্বাচন কমিশনের নিকট প্রেরণ করেননি। এর ফলে নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। দেখা দেয় জটিলতা। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের স্মারক নম্বর (৩৪.০৩.০০০০.০০২.৪৩.০০৫১২-৯১৬), তারিখ ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ পত্র অনুযায়ী সাত সদস্য বিশিষ্ট এডহক কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি ৯০ দিনের মধ্যে জেলার বৃহৎ ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন সম্পন্ন করবেন। উল্লেখ্য, সর্বশেষ জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন হয়েছিল ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি। এ বিষয়ে যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির সদস্য সচিব ও যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস এম শাহীন বলেন, ভোটার তালিকা নিয়ে যে জটিলতা দেখা দিয়েছে সেটা নিয়ে দু’পক্ষের সাথে বসার পরিকল্পনা আছে। সবার কথা শুনে সমাধানের চেষ্টা করবো। এরপর নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থ্যার সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব কবির বলেন, ক্লাব প্রতিনিধির নাম যখন চাওয়া হয়েছিলো তখন দেয়নি যেসব ক্লাব, তার দায়ে কেন নির্বাচন বন্ধ করা হবে। তফসিল অনুযায়ী যেখান থেকে নির্বাচন স্থগিত হয়েছে সেখান থেকে দ্রুত নির্বচনের দাবি করেন তিনি। সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী এ জেড এম সালেক বলেন, যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে দ্রুত নির্বাচনের দাবি করেন তিনি। নির্বাচিত কমিটি না আসলে যশোরে ক্রীড়াঙ্গণ স্থমিত হয়ে যাবে। খেলাধুলা হবে না, তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে খেলোয়াড়। ক্রীড়া সংগঠক আসাদুজামান মিঠু গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বার্ষিক সাধারণ সভায় অনুমদিত ভোটার তালিকা করে ভোট করার দাবি জানান। আইন অনুযায়ী পুনতফসিল করে সবপক্ষকে নিয়ে ভোট হোক এটা প্রত্যাশা করি। সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী শরিফুল ইসলাম সরু চৌধুরী বলেন, ভোটার তালিকা ঠিক করে,পুনতফসিল দিয়ে দ্রুত নির্বাচন দেয়া হোক।