নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে বেসররকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক থেকে ভুয়া নার্স ও মিডওয়াইফারি নির্মূলে অভিযান শুরু হয়েছে। যশোরের সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) থেকে এই অভিযান শুরু করা হয়। প্রথমদিনে শহরের দুটি হসপিটালে ৪ ভুয়া নার্স চিহ্নিতের পর সংশোধনে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানিয়েছে, রোববার স্বাস্থ্য বিভাগের টিম শহরের দড়াটানা মোড়ে অবস্থিত দড়াটানা হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও একতা হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করেন। এরমধ্যে দড়াটানা হসপিটালে ১ জন ও একতা হসপিটালে ৩ জন ননডিপ্লোমা নার্স চিহ্নিত হয়। বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা হসপিটাল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেন।
অভিযানে টিমে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদুল হাসান, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নাজমুস সাদিক রাসেল, মেডিকেল অফিসার ডা. রেহনেওয়াজ রনি, প্রধান করণিক পারভীন আক্তার প্রমুখ। এসময় যশোর নার্সিং এন্ড মিডওয়াইফারি কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
যশোরের ডেপুটি সিভিল সার্জন নাজমুস সাদিক রাসেল জানিয়েছেন, ভুয়া নার্স নির্মূলে অভিযান শুরু করা হয়েছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য অভিযান চলবে। নিয়মের বাইরে হসপিটাল-ক্লিনিক পরিচালনার সুযোগ দেয়া হবে না।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদুল হাসান জানিয়েছেন, ক্লিনিক হসপিটাল থেকে ভুয়া নার্স নির্মূল করতে স্বাস্থ্য বিভাগ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। প্রথম দিন অভিযান চালিয়ে দড়াটানা হসপিটাল ও একতা হসপিটালে ৪ জন ননডিপ্লোমা নার্স ধরা পড়ে। ডিপ্লোমা নার্স নিয়োগের জন্য মালিকপক্ষকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। অন্যথায় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সিভিল সার্জন আরও জানান, ভুয়া নার্স নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত হসপিটাল -ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, যশোরে বেসররকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক থেকে ভুয়া নার্স ও মিডওয়াইফারি নির্মূলের দাবিতে গত ২২ আগস্ট সচেতন নার্স ও মিডওয়াইফ সমাজের পক্ষ থেকে মানববন্ধন করে বৈষম্য বিরোধীরা। পরে তারা যশোরের সিভিল সার্জনের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে।