শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জহুরুল হক আপ্পুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি। দলীয় কোন্দলের অংশ হিসেবে তাকে রাজনীতির মাঠ থেকে দূরে সরাতে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি জগলুল হায়দারের সহযোগী আব্দুর রহমান ও মোকছেদকে সামনে রেখে ষড়যন্ত্রের জাল বোনা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি করেন উপজেলা বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক জহুরুল হক আপ্পু।
সংবাদ সম্মেলনে জহুরুল হক আ্প্পু জানান, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনোয়ারুল ইসলামকে ব্যবহার করছেন বিএনপির একটি অংশ। চক্রান্তের অংশ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের একটি ‘ভুয়া’ অভিযোগের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে তাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে ষড়যন্ত্রকারীরা। ভাতিজা হাফিজ আল আসাদ কল্লোলকে যুবদলের সম্ভাব্য নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দিতে ষড়যন্ত্রের জালে তাকেও জড়িয়ে দেয়ার চক্রান্ত চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে জহুরুল হক আপ্পু আরো বলেন, সম্প্রতি যুবদলের সদস্য সচিব আনোয়ারুলের লোকজন এক নারীকে দিয়ে যুবদল নেতা কল্লোলসহ তার বিরুদ্ধে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের মিথ্যা অভিযোগের ভিডিও ধারণ করিয়েছেন। এমনকি ভিডিও ধারণের পূর্বমুহূর্তে ক্যামেরার সামনে কি বলতে হবে সেসব কথাও শিখিয়ে দিয়েছেন ওই যুবনেতার সহকারী মিজান। যা পাশে থাকা অপর এক ব্যক্তির ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। এসবের ধারাবাহিকতায় গত ১৬ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে আনোয়ারুলের ফুফাত ভাই মোকছেদ সংবাদ সম্মেলন করে গত ৫ আগস্ট তার (জহুরুল) নেতৃত্বে স্থানীয় কাতখালী ভূমিহীন পল্লীতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ তুলেছেন। ঘটনার ৪০ দিন পর এমন সংবাদ সম্মেলনে বিস্ময় প্রকাশ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংসের পায়তারা চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা ডিএম মফিজ, আশিকুল হাসান, যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক হাফিজ আল আসাদ কল্লোল ও নুরনবী প্রমুখ।