Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

বেনাপোল স্থলবন্দরে কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনালের উদ্বোধন করলেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা

এখন সময়: বুধবার, ১১ ডিসেম্বর , ২০২৪, ০৯:৫৯:৫৭ পিএম

 

শেখ কাজিম উদ্দিন, বেনাপোল : দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে সেবার মান বৃদ্ধি ও আমদানি-রফতানিকারকদের ব্যবসায় গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপণা বেনাপোল স্থলবন্দর কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনালের উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বেলা ১২ টায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন ফিতা কেটে এ টার্মিনালের শুভ উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) দেলোয়ারা বেগম, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান, বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার কামরুজ্জামান, যশোর জেলা প্রশাসক মোঃ আজহারুল ইসলাম, বিজিবির দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কবির,  বেনাপোল বন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার, শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান, সহকারি কমিশনার (ভূমি) নুসরাত ফারিয়া, বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ¦ শামছুর রহমানসহ অন্যান্য সরকারি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

বেনাপোল স্থলবন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি, স্থানীয় যানযট নিরসন এবং স্থলপথে বানিজ্যিক কার্যক্রম সম্প্রসারণে ২০২২ সালে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের গা ঘেঁষে ৩২৯.২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪১ একর জমির উপর বেনাপোল স্থলবন্দরে কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনালটির নির্মাণ কাজ আরম্ভ করা হয়। যার ২৫ একর জায়গা নিয়ে বেনাপোল বন্দর ভেহিক্যাল টার্মিনাল ও ১৬ একর জায়গা নিয়ে ট্রান্সসিপমেন্ট (টিসিবি) ইয়ার্ড নির্মাণ করা হয়। এখানে জমি অধিগ্রহণ বাবদ ১০৯ কোটি এবং নির্মাণকাজ বাবদ ২২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।

নব-নির্মিত এই কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনালটিতে এক সাথে প্রায় ১৫০০টি পণ্যবাহী ট্রাক ধারণের সক্ষমতা রয়েছে। এখানে পার্কিং ইয়ার্ড, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, সকল সংস্থার কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য কার্গো ভবন, টার্মিনাল ব্যবহারকারীদের বন্দর সেবা ভবন, নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য আধুনিক ফায়ার ফাইটিং ব্যবস্থা ও সিসিটিভি স্থাপন, আধুনিক মানের ওয়াশ ব্লক, ১০০ মে.টন ক্ষমতার ২টি ওয়েব্রীজ স্কেল ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। যা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।

পরে তিনি, বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন, কাস্টমস ও শুন্যরেখা পরিদর্শন করেন। এখান থেকে বেনাপোল স্থলবন্দরের প্রশাসনিক কার্যালয়ের সভাকক্ষে এলাকায় কর্মরত প্রশাসনিক, আইন শৃঙ্খলা, ব্যবসায়ীসহ বন্দর ব্যবহারকারি বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন।

বেনাপোল স্থলবন্দরের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাথে স্থলপথে দেশের প্রায় ৮০% পণ্যের আমদানি-রফানি বাণিজ্য সম্পন্ন হয়ে থাকে। এ বন্দরে প্রতিদিন প্রায় ৫০০-৬০০টি ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক এবং ৪৫০-৫০০টি বাংলাদেশি পণ্যবাহী ট্রাক আগমন করে। এতোদিন ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশের পর এখানে ব্যবহারযোগ্য কোন টার্মিনাল না থাকায় অধিকাংশ পণ্যবাহী ট্রাক সড়কের উপর অবস্থান করতো। এতে বেনাপোল স্থলবন্দরে সার্বক্ষণিক যানজটের সৃষ্টি হতো। যার ফলে স্বাভাবিক আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাপকভাবে ব্যাহত হতো। এ কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনালটি নির্মাণের ফলে এখন থেকে পণ্যবাহী ট্রাক এখানে প্রবেশের পর এই টার্মিনালে নিরাপদে সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। দীর্ঘদিন পরে হলেও ব্যবসায়ীদের বহু প্রতিক্ষিত প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বেনাপোল স্থলবন্দরের দক্ষতা অনেকাংশেই বৃদ্ধি পাবে এবং আমদানি-রফতানি কাজে নিয়োজিত যানের যাতায়াতের সময় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে। একইসাথে বন্দরের যানজট নিরসন হবে এবং দক্ষতা বৃদ্ধির ফলে সরকারের রাজস্ব আয়ের পরিমাণ অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)