Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

মত প্রকাশে কাউকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না : সেনা সদর

এখন সময়: রবিবার, ১৬ মার্চ , ২০২৫, ১১:১১:০১ পিএম

 

স্পন্দন ডেস্ক: গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে মত প্রকাশে কাউকে বাধা না দেওয়ার কথা তুলে ধরে সেনাসদর বলছে, কারা কী ধরনের মতামত দিচ্ছে সেটির বস্তুনিষ্ঠতার বিচার জনগণই করবে।

সবশেষ দুই মাসে আগের দুই মাসের চেয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও আগের চেয়ে ভালো হওয়ার কথাও বলেছে সেনাসদর।

সোমবার দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে সেনাসদরের মিলিটারি অপারেশনস ডিরেক্টরেটের স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, “মব জাস্টিসসহ যেকোনো ধরনের চাঁদাবাজি, চুরি, রাহাজানি এবং হত্যা আগের চেয়ে অনেক কমে এসেছে।”

দেশের সার্বিক বিষয় নিয়ে সেনাসদর দপ্তর এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে কথা বলেন ও বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন কর্নেল শফিকুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৫০ দিনে সেনাবাহিনীর কার্যক্রমের পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়।

আগের দুই মাসের সঙ্গে সবশেষ দুই মাসের তুলনামূলক পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি বলেন, “যেমন- চাঁদাবাজি, এটি পূর্বে ২৫০ ছিল। বর্তমানে এটি ১১০ হয়েছে। চুরি এর আগে গড়ে ৮৫০টির মত ছিল। এখন এটা ৬৫০ এর নিচে নেমে এসেছে। হত্যা আগে ৩৫০ এর মত ছিল, এখন এটা ১২০ এ নেমে এসেছে।”

এসব অপরাধ দমাতে সেনাবাহিনীর তৎপরতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “এ ধরনের অপরাধ হচ্ছে এমন হটস্পটগুলো চিহ্নিত করে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে মব জাস্টিস ও চাঁদাবাজি কমিয়ে আনা হয়েছে। সব ক্ষেত্রেই সক্ষমতা আগের চেয়ে বেড়েছে।”

সরকার পতনের আগে-পরের অস্থির সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ে আহত ৩ হাজার ৮৫৯ জনকে সমন্বিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসা দেওয়ার তথ্য দেন কর্নেল শফিকুল। বলেন, তাদের মধ্যে ৪১ জন এখনও সেখানে চিকিৎসাধীন।

এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন ‘কিছু অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট সোস্যাল মিডিয়ায় সেনাবাহিনী নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর অবস্থান কী’? জবাবে কর্নেল শফিকুল বলেন, “সোস্যাল মিডিয়াতে যেকোনো মত প্রকাশের সুযোগ রয়েছে। সেখানে যার যার মত প্রকাশ করবে। এ বিষয়ে আমরা কাউকে কোনো বাধা দিচ্ছি না। তবে কে, কেমন, কী মত প্রকাশ করছে তার কতটুকু বস্তুনিষ্ট তার বিচারের দায়ভার আপনাদের ওপর দিচ্ছি।”

সংবাদমাধ্যমও নিজেদের মতে করে সংবাদ পরিবেশন করছে, মন্তব্য করেন তিনি।

ঢাকার মোহাম্মদপুর ও বনানীতে দুটি ডাকাতির ঘটনায় বর্তমান ও সাবেক সেনাসদস্যদের জড়িত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “এই দুটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। তবে ঘটনা দুটি অবশ্যই অনাকাঙ্খিত ঘটনা। এ বিষয়ে উচ্চপর্যায়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীতে কর্মরত সদস্যদের সেনা আইনে বিচার করা হবে। আর সাবেক সদস্যদের বিচার হবে দেশের প্রচলিত আইনে।

”সেনাবাহিনী কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না। সেনাবাহিনী সব সময় নিরপেক্ষ পন্থা অবলম্বন করে দেশের মানুষের পাশে থেকে সব সময় কাজ করে।”

পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামায় অপহরণের শিকার রাবার শ্রমিকদের বিষয়ে সেনাবাহিনী কী করছে, এমন প্রশ্নে স্টাফ কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, “সেনাবাহিনীর কাছে তথ্য আছে ২০ জন অপহৃত হয়েছে। এটি দুষ্কৃতকারী কোনো একটি দল করেছে। আহরণকারীদের কাছ থেকে তাদের উদ্ধারের কাজ চলমান আছে।”

পার্বত্য অঞ্চলে সশস্ত্র সংগঠন কুকি চীনের দৌরাত্ম্য থাকার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “সেনাবাহিনী তাদের দৌরাত্ম্য কমিয়ে এনেছে। গতকালও (রোববার) কুকি চীনের দুটি ক্যাম্প ধ্বংস করা হয়েছে। কিছুদিন আগে কুকি চীনের অত্যাচারে এলাকা ছেড়ে যাওয়া ১১টি বম পরিবারের ৮১ জন সেনাবাহিনীর সহায়তায় এলাকায় ফিরে এসেছেন।”

লিখিত বক্তব্যে কর্নেল শফিকুল বলেন, গত ৫০ দিনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ১৭২টি অবৈধ অস্ত্র এবং ৫২৭ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। এ সময়কালে দেশের বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে (মূলত গাজীপুর, আশুলিয়া ও সাভার এলাকায়) ৮৮টি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং মূল সড়কে ৩০টি অবরোধ নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে।

পাশাপাশি কারখানাগুলো চালু রাখতে মালিকপক্ষ, শ্রমিকপক্ষ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, শিল্পাঞ্চল পুলিশ, বিজিএমইএসহ সংশ্লিষ্ট সবার সমন্বয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, শিল্পাঞ্চল ছাড়াও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গত এক মাসে ৪২টি বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। এর মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত ১৪টি, সরকারি সংস্থা বা অফিস সংক্রান্ত তিনটি, রাজনৈতিক কোন্দল নয়টি এবং অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ছিল ১৬টি।

বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে গত এক মাসে ২ হাজার ১৪২ জনকে গ্রেপ্তার করার তথ্য দিয়ে কর্নেল শফিকুল বলেন, “যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মধ্যে যৌথ অভিযানে ৩৩৪ জন মাদক ব্যবসায়ী বা মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”

 

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)