নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকার ঘোষিত জুলাই গণ-অভ্যুত্থান কর্মসূচি পালন সংক্রান্ত প্রস্তুতিমূলক সভা সোমবার দুপুরে যশোর কালেক্টরেট সভাকক্ষ অমিত্রাক্ষরে অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ সভার আয়োজন করা হয়।
সভা সিদ্ধান্ত হয়, আজ ১ জুলাই হত্যাযজ্ঞের খুনিদের বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী গণসাক্ষর কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে কালেক্টরেট চত্বরে গণসাক্ষর কর্মসূচি উদ্বোধন করা হবে দুপুর ১২টায়। এ কর্মসূচি চলবে ১ আগস্ট পর্যন্ত। বাদ জোহর কালেক্টরেট মসজিদে শহিদদের স্মারণে দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। ৫ জুলাই বিভিন্ন সময়ে অবৈধ আওয়ামী সরকারের জুলুম নির্যাতন প্রচারে দেশব্যাপী পোস্টারিং কর্মসূচি করা হবে। যশোরের সব রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এ পোস্টারিং করবেন। ১৪ জুলাই শিল্পকলায় ভিডিও প্রদর্শন হবে। ১৫ জুলাই যশোরে ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হবে। সেই সাথে ভিডিও শেয়ার ও স্মৃতিচারণ করা হবে। ১৭ জুলাই চাঁচড়ার মোড় থেকে টাউন হল মাঠ পর্যন্ত প্রতীকী কফিন মিছিল করা হবে। ১৮ জুলাই পালবাড়ী থেকে চাঁচড়া হয়ে টাউন হল মাঠ পর্যন্ত জুলাই স্মৃতি ম্যারাথন করা হবে। সকাল ৬টায় এটি শুরু করা হবে। ২৩ জুলাই সকল স্কুলে গ্রাফিতি অঙ্কন কর্মসূচির আয়োজন করা হবে। ২৪ জুলাই শিশু শহিদদের স্মরণে জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিক নভেল প্রকাশ, ২৫ জুলাই সন্ধ্যা মঞ্চ নাটক, ২৬ জুলাই মাদ্রাসায় জুলাই আন্দোরন নিয়ে আলোচনা, ২৮ জুলাই রক্তদান ও মেডিকেল ক্যাম্পেইন পৌর কমিউিনিটি সেন্টারের সামনে, ৩০ জুলাই ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে ভুমিকা রাখা সাংবাদিকদের নিয়ে আলোচনা, ৩৩ জুলাই মাদের নিয়ে সমাবেশ, ৩৪ জুলাই রিকসায় জুলাইয়ের গ্রাফিতির পোস্টার লাগিয়ে র্যালি, ৩৬ জুলাই পুষ্পস্তবক অর্পন করা হবে। রেজুলেশন করে এসব কর্মসূচি পালন করা হবে বলে সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম জানান।
এসময় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ও পৌর প্রশাসক রফিকুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মিজানুর রহমান খান, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, জেলা শিক্ষা অফিসার মাহফুজুল হোসেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোরের আহবায়ক রাশেদ খান প্রমুখ।
সভা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজিবুল আলম।