ফুলতলা (খুলনা) প্রতিনিধি : আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ মুসলিমা আক্তার মুন্নী (১৭) নামে ফুলতলা সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী অপহরণের ৪দিন পর খুলনার হরিনটানা থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে। পরে অপহরণকারী গোবিন্দ মন্ডল (২০) কে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে এবং ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফুলতলা থানার এসআই মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, ভিটমিন মুন্নীর মোবাইলের আইএমই নম্বর ট্র্যাকিং করে রোববার গভীর রাতে বটিয়াঘাটা থানার পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে ভান্ডারকোট এলাকার বিল্লালকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে বিল্লাল জানায়, জনৈক গোবিন্দ মন্ডলের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে ফোনটি কেনা হয়েছে। পুলিশ তাকে সাথে নিয়ে হরিনটানা থানা পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে রাজবাথ হ্যাচারীর মোড়ে শেখ মশিউর রহমানের বাড়ীতে অভিযান চালায়। সেখান থেকে ভিকটিম মুসলিমা আক্তার মুন্নীকে উদ্ধার এবং আসামি গোবিন্দ মন্ডলকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক বিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ সোমবার আদালমের মাধ্যমে আসামি গোবিন্দকে জেলহাজতে প্রেরণ করে। অপরদিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি ওয়ার্ডের ডাক্তার ফারজানা এ্যানির চেম্বারে ভিকটিম মুন্নীর ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে সেইভকাস্টডি করা হয়।
প্রসঙ্গত পঠিয়াবান্দা গ্রামের মোমতাজ সানার কন্যা মুন্নীকে তাদের বসতবাড়ীর সামনে থেকে গত বৃহস্পতিবার বিকালে গোবিন্দ মন্ডল পূর্ব পরিকল্পিতভাবে জোরপূর্বক অপহরণ করে মটরসাইকেলে করে গাড়াখোলা মাছ বাজারের দিকে চলে যায়। এ ব্যাপারে মুন্নীর ভাই আল আমিন সানা বাদি হয়ে পঠিয়াবান্দা গ্রামের নৃপেন মন্ডলের পুত্র গোবিন্দ মন্ডল (২০) এবং তার সহযোগী একই গ্রামের আবজাল খাঁর পুত্র আরাফাত খাঁ (৩৫), মনির (৪৫) এবং নৃতিশ মন্ডল (৪৫) কে আসামী করে ফুলতলা থানায় মামলা দায়ের করেন।