নিজস্ব প্রতিবেদক: ভ্রূণ হত্যার অভিযোগের স্ত্রী শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। সোমবার যশোর সদরের কাজীপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে ফারুক হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রহমত আলী অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলো, খুলনা ফুলতলার শিরোমনি মধ্যপাড়ার রুহুল আমিন, তার স্ত্রী রেক্সোনা বেগম ও মেয়ে তামান্না পারভীন লাবনী।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, গত ৭ মাস আগে পারিবারিকভাবে ফারুক হোসেন বিয়ে করেন তামান্না পারভীন লাবনীকে। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতে ফারুকের শ্বশুর-শাশুড়ি তার মেয়েকে ফারুকের সংসার করতে দেবেনা বলে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেন। লাবনীকে তারা অন্যত্র বিয়ে দিবেন বলেও হুমকি দেন। এরমধ্যে লাবনী অন্তঃসত্ত্বা হয়। লাবনীকে নিয়ে ফারুক যশোরের একটি ক্লিনিকে নিয়ে গর্ভকালীন পরামর্শ গ্রহণ করেন। ফারুকের শ্বশুর-শাশুড়ি তার বাড়িতে বেড়াতে এসে স্ত্রী লাবনীকে নিয়ে যায়। ফারুক তার স্ত্রীর সংবাদ জানতে ফোন করলে তাকে জানানো হয় গর্ভে সন্তান নেই। আসামিরা পরিকল্পিতভাবে গত ১ মে থেকে ৪ মের মধ্যে লাবনীর গর্ভের ভ্রূণ নষ্ট করে ফেলে। ফারুক গত ১০ মে শ্বাশুর বাড়ি যেয়ে ভ্রূণ হত্যার কারণ জানতে চাইলে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়। বিষয়টি মীমাংসায় ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।