নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরের অভয়নগরে নওয়াপাড়া পৌর শাখা কৃষক দলের সভাপতি এসএম তরিকুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার (২৩ মে) আছরের নামাজ শেষে ধোপাদী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। তরিকুল ইসলাম উপজেলার ধোপাদী গ্রামের মৃত ইব্রাহিম সরদারের ছেলে। এদিকে, হত্যাকাণ্ডের পর ওই রাতে ডহর মশিয়াহাটী গ্রামের অন্তত ২০টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, তরিকুল হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘন্টা পার হলেও পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা করা হয়নি। তবে ওই এলাকার সন্দেহভাজন দুই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নিয়ে গেছে পুলিশ।
এদিকে তরিকুল ইসলামের জানাজায় উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব, অভয়নগর থানা বিএনপির সভাপতি ফারাজী মতিয়ার রহমান, সাধারণ সম্পাদক কাজী গোলাম হায়দার ডাবলু, নওয়াপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি আবু নঈম মোড়ল, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল মোল্যা, বিএনপি নেতা মশিয়ার রহমান, জাকির হোসেন, ইমাম পরিষদ, নওয়াপাড়া সার ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দসহ জেলা-উপজেলা বিএনপি ও সকল অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আলীম বলেন, ‘নিহত তরিকুল ইসলামের ময়নাতদন্তের পর শুক্রবার বিকালে ধোপাদী গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। ডহরমশিয়াহাটী গ্রাম থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহভাজন দুই যুবককে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম পরিচয় জানানো যাচ্ছে না।’
ওসি আরো বলেন, ‘নিহত তরিকুল ইসলামের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মামলা করা হয়নি। তবে হত্যার রহস্য ও খুনিদের আটকে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। সুন্দলী ইউনিয়নের পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে।’
এরআগে বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের ডহরমশিয়াহাটী গ্রামে বেড়েধা এলাকায় পিন্টু বিশ্বাসের বাড়িতে যান তরিকুল ইসলাম ও তার এক সহযোগী সুমন। সেখানে মৎস্যঘেরের জমি সংক্রান্ত চুক্তিপত্র স্বাক্ষরের বিষয়ে পিন্টু বিশ্বাসের সঙ্গে তরিকুলের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে অজ্ঞাতনামা ৬-৭ জন দুর্বৃত্ত বাড়ির ভেতরে ঢুকে তরিকুল ইসলামকে কুপিয়ে ও গুলি করে পালিয়ে যায়। কৃষক দল নেতার মৃত্যুরে খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই রাতে উত্তেজিত জনতা পিন্টু বিশ্বাসের বাড়িসহ আশপাশের প্রায় ২০টি বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।