মিরাজুল কবীর টিটো : যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা শাখার কক্ষগুলো ডিজিটাল সিস্টেমের আওতায় আনা হয়েছে। এতে করে শাখার কক্ষে বোর্ড চেয়ারম্যান, সচিব ,পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও যারা সেখানে কাজ করেন তারা ছাড়া অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রবেশ করতে পারবে না। এর আগে ওইসব কক্ষে অফিসের যেকোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী অবাধে আসা যাওয়া করতে পারতেন।
বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী কামাল হোসেন জানান, অফিসের দুইতলার উত্তর পাশের ৫টি কক্ষে পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজ করা হয়। কাজ গুলোর মধ্যে রয়েছে ওএমআর শিট (নম্বরপত্র) স্ক্যান ও প্রশ্ন পত্র রাখা। সেখান থেকে ওএমআর শিট স্ক্যান করে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। সেই সাথে প্রশ্নপত্র প্যাকেট কেন্দ্রে পাঠানো হয়। ওই কক্ষগুলোতে যদি চলাচলে বিধি নিষেধ না থাকে তাহলে পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে গোপনীয়তা বাইরে প্রকাশ পাবে। তখন বোর্ড কর্তৃপক্ষ পড়বে বিপাকে। একারনে পরীক্ষা শাখার ৫টি কক্ষ ডিজিটাল সিস্টেমের কন্ট্রোলের আওতায় আনা হয়েছে। কক্ষগুলোর সামনে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। লাগানো হয়েছে একসেপ্ট কন্ট্রোল দরজা। দরজার ফিঙ্গার প্রিন্টের মেশিনে যাদের ফিঙ্গার প্রিন্টের ডাটাবেজ সেভ থাকবে। তারা কক্ষ গুলোতে প্রবেশ করতে পারবেন। এর মধ্যে রয়েছে বোর্ড চেয়ারম্যান, সচিব, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও সেখানে কাজে নিয়োজিত কর্মচারী। এর বাইরে উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক,উপসচিব,সহকারী সচিবসহ অন্য কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রবেশ করতে পারবেন না। আর যারা পরীক্ষা শাখায় পরীক্ষা সংক্রান্ত গোপনীয় কাজের সাথে জড়িত আছে তাদের মোবাইল ফোন ব্যবহার পুরোপুরিভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে প্রশ্নপত্র বাইরে ফাঁস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এ ব্যাপারে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. আব্দুল মতিন জানান, পরীক্ষা শাখার কক্ষ গুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা জরুরী। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ গোপনীয় কাজ করা হয়। যে কাজ বাইরে প্রকাশ পেলে বড় সমস্যা হবে। কর্মকর্তা-কর্মচারী অবাধে চলাচল করাও ঠিক নয়। একারনে পরীক্ষা শাখার ৫টি কক্ষ ডিজিটাল সিস্টেমের কন্ট্রোলের আওতায় আনা হয়েছে। কোন কর্মচারী কখন কক্ষে প্রবেশ করছেন আবার বাইরে যাচ্ছেন সেটাও জানা যাবে।