নিজস্ব প্রতিবেদক: ভরণ পোষণের দাবিতে দুই পুত্র ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। রোববার অভয়নগরের ধোপাদি গ্রামের মৃত হাচান আলীর স্ত্রী বৃদ্ধা রিজিয়া বেগম বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শান্তনু কুমার মন্ডল অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামিদের প্রতি সমন জারির আদেশ দিয়েছেন। আসামিরা হলো, বাদীর ছেলে ফারুক হোসেন ও তার স্ত্রী আছিয়া বেগম এবং বিল্লাল হোসেন ও তার স্ত্রী রেহেনা বেগম।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ৮ বছর আগে রিজিয়া বেগমের স্বামী হাচান আলী মারা যান। হাচান আলী মারা যাওয়ার পর তিনি স্বামীর ভিটায় থাকতেন। পুত্রবধূরা তার সাথে ভালো ব্যবহার করতেন না। তাকে দিয়ে বাড়িতে কাজ করানো হতো। কাজ করতে না পারলে পুত্রবধূরা তার সাথে খারাপ ব্যবহার করতো। নাতি পোতাকে তার কাছে যেতে দিতো না। বিষয়টি পুত্রদের জানালেও তারা কর্ণপাত করতো না। ২০২২ সালের ১৩ মার্চ সকালে বাড়িতে কাজ করার সময় পড়ে গিয়ে রিজিয়া বেগমের একটি পা ও একটি হাত ভেঙে যায়। পুত্র ও পুত্রবধূরা তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেননি। শুধু তাই নয়, হাত পা ভাঙা অবস্থায় একই বছরের ১৬ এপ্রিল তাকে স্বামীর ভিটা থেকে তাড়িয়ে দেয় পুত্র ও পুত্রবধূরা। এরপর থেকে মাকে তাদের বাড়িতে রেখে মেয়েরা চিকিৎসাসহ দেখভাল করতে থাকে। দীর্ঘ ৩ বছর পর গত ১৮ মে সকালে মেয়েরা তার মাকে নিয়ে ভাইদের বাড়িতে আসে। এ সময় রিজিয়া বেগম তার দুই ছেলের কাছে ভোরণ পোষণের দাবি করে। ছেলেরা মায়ের ভোরণ পোষণ দিতে অস্বীকার করে এবং বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। বিষয়টি মীমাংসায় ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।