নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরের মাছ চাষি আরিফুল ইসলাম তপুকে চাঁদার দাবিতে মারপিটের মামলায় ৬ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় সুইটের অব্যাহতি চাওয়া হয়েছে। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ইলিয়াস হোসেন।
অভিযুক্ত আসামিরা হলো, চাঁচড়া সার গোডাউন এলাকার খালিদ গাজীর ছেলে ইমন ওরফে ভাগ্নে ইমন, চাঁচড়া রায়পাড়া আলতাফের মোড়ের রবিউল ইসলামের ছেলে জিসান ওরফে ভাগ্নে জিসান, পুলেরহাট এলাকার হুমায়ুন কবিরের ছেলে রফিকুল ইসলাম ওরফে মুরাদ হোসেন, কৃষ্ণবাটি গ্রামের শেখ মনির হোসেনের ছেলে বিল্লাল হোসেন শেখ ওরফে বিল্লাল, জাকির হোসেনের ছেলে আশিকুর রহমান জয় ওরফে ভাগ্নে জয় ও লিটনের ছেলে নুর আলী।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আরিফুল ইসলাম তপু মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। আসামিরা এলাকার কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। বেশ কিছুদিন ধরে আসামিরা তপুর কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় আসামিরা খুন জখমের হুমকি দিয়ে আসছিল। ২০২৪ সালের ৫ ডিসেম্বর সকালে তপু ও মামুন ব্যবসায়িক টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল যোগে বের হন। পথিমধ্যে কৃষ্ণবাটি গ্রামের একটি রেস্টুরেন্টের সামনে পৌঁছালে আসামিরা গতিরোধ করে। এ সময় আসামিরা তপু ও মামুনকে মারপিট করে নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় তপু বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে আটক আসামিদের দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ওই ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। চার্জশিটে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম মুরাদ ও ভাগ্নে জিসান বাদে সকল আসামিকে পলাতক দেখানো হয়েছে।