নিজস্ব প্রতিবেদক: চৌগাছার একটি নাশকতার পরিকল্পনা ও বিস্ফোরক মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ২৩ নেতাকর্মীর অব্যাহতি চেয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আশরাফ উদ্দিন।
অব্যাহতি প্রাপ্তরা হলেন-চৌগাছার কারিকর পাড়ার আব্দুর রহমান, আন্দুলিয়া গ্রামের এসএম মিলন, বেদীপুর গ্রামের মাসুদুল হাসান, উত্তর কয়ারপাড়ার আব্দুল মান্নান, দক্ষিণ কয়ারপাড়ার শান্ত, শান্ত ইসলাম, সিংহঝুলির ইউনুচ আলী দফাদার, আলম দফাদার, রাজু দফাদার, পাঁচনামনা গ্রামের সাইদুল ইসলাম, চৌগাছা বিশ্বাসপাড়ার কামাল হোসেন, ইজ্জল, চৌগাছা বাকপাড়ার ইসমাইল কবিরাজ, মাঠ চাকলা গ্রামের দেলোয়ার হোসেন দাদন, হাজীপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেন, মনমথপুর গ্রামের মইফুল, মাঝালী গ্রামের ফুলজান, ভাদড়া গ্রামের ইমন হাসান রকি, লস্করপুর গ্রামের শফিকুল ইসলাম, জামতলা গ্রামের শিমুল হোসেন, সৈয়দপুর গ্রামের জহুরুল ইসলাম, জমিরা গ্রামের শিমুল হোসেন মার্কিন ও ভাদড়া গ্রামের মেহেদী হাসান।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর দুপুরে চৌগাছা থানা পুলিশ জানতে পারে চৌগাছার কয়ারপাড়া টালিখোলা মোড়ে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়েছে। তারা তত্ত্ব¡াবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ও খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার দাবিতে বিক্ষোভ ও নাশকতার চেষ্টা করছিল। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছুলে পালিয়ে যাওয়ার সময় দুইজনকে আটক ও তিনটি ককটেল, লাঠি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় চৌগাছা থানার এসআই নুরুজ্জামান বাদী হয়ে নাশকতার পরিকল্পনা ও বিস্ফোরক আইনে ১৭ জনের নামউল্লেখসহ অপরিচিত ২০০/২৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
এ মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে আটক আসামিদের দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের অব্যাহতি চেয়ে আদালতে এ চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।