মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি: মণিরামপুরে নেহালপুর-আলীপুর-পোড়াডাঙ্গা ব্যস্ততম পাকা সড়কের ফুটপাত দখলের পর মৎস্যঘেরের বেড়ি বাঁধ নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নেহালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য কামরুজ্জামানের সাথে ঘেরের পার্টনার হয়ে জামায়াত নেতা মিলেমিশে সড়কের ফুটপাথ দখলের পর বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেছেন। যদিও এলাকাবাসীর তোপের মুখে সড়কের পাশ থেকে সামান্য মাটি সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তারপরও সড়ক ঘেষে বাঁধ নির্মাণ করায় পথচারীসহ যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। একই সাথে দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
শনিবার সকালে সরেজমিনে জানা যায়, নেহালপুর বাজারের উত্তরপাশ দিয়ে চার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পিচের রাস্তাটি আলিপুর হয়ে কুলটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে(পোড়াডাঙ্গা) গিয়ে মিশেছে। নেহালপুর থেকে চলে যাওয়া পিচের রাস্তাটির দুপাশে পাঁচ থেকে সাত ফুট জায়গা রাখা হয়েছে পথচারীসহ যানবাহন ক্রসিংয়ের জন্য। আলীপুরের পশ্চিমপাশে প্রায় শত বিঘা জমি লিজ নিয়ে ঘের করেছেন নেহালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ইউপি সদস্য কামরুজ্জামান এবং ইউনিয়ন জামায়াতের টিম সদস্য খিদির হাসান।
অভিযোগ রয়েছে কামরুজ্জামান এবং খিদির হাসান পাকা সড়কের প্রায় আধা কিলোমিটার ফুটপাথ দখল করে উঁচু বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেছেন। এ বেড়িবাঁধের পাশে রয়েছে গাবরডাঙ্গা সার্বজনীন পূজা মন্দির ও আলীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ফুট পথ দখল করে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করায় শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের যাতায়াত করতে যেমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তেমনি যানবাহন ক্রসিং করতে ঝুঁকি বাড়ছে। ফলে জনমনে দেখা দিয়েছে ব্যাপক অসন্তোষ। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলেও কোনো প্রতিকার হয়নি। আলীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমতা রানী ঘোষ বলেন, ব্যস্ততম সড়কে ফুটপথ না থাকায় শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণের চলাচলে সমস্যা তো হচ্ছে।
কুলটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখর চন্দ্র রায় বলেন, সড়কের পাশে কমপক্ষে পাঁচ থেকে সাত ফুট জায়গা থাকার কথা। কিন্তু এখানে রাখা হয়েছে খুব সামান্য। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ। কুলটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হামিদুল ইসলাম বলেন, জনস্বার্থে যেকোন মূল্যে এ বেড়িবাঁধ অপসারণ করা উচিত। তবে ঘের মালিক আওয়ামী লীগ নেতা কামরুজ্জামান বলেন, জামায়াত নেতা খিদির হাসানসহ বেশ কয়েকজন মিলে আমরা ঘের করেছি। কিন্তু সড়কের পাশে পরিত্যক্ত জমির সামান্য অংশে বেড়িবাঁধটি নির্মাণ করা হয়। তবে জামায়াত নেতা খিদির হাসান বলেন, এলাকাবাসীর অনুরোধে বেড়িবাঁধটি কিছুদুর সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
তবে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের পাশে সাত ফুট প্রস্তের ফুটপাথ থাকলেও দখল করা হয়েছে অন্তত পাঁচ ফুট। এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলেও কামরুজ্জামান ও খিদির হাসান কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিয়াজ মাখদুম বলেন, দখলের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে অবশ্যই দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।