নিজস্ব প্রতিবেদক: জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তদন্তে যশোর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল ও তার স্ত্রী শেফালী জামান এবং দুই ছেলে তানজীব নওশাদ পল্লব ও তানভীর নওশাদ অর্ণবের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যশোরের একটি আদালত। রোববার সিনিয়র স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) শেখ নাজমুল আলম আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পিপি অ্যাডভোকেট আশরাফুল আলম বিপ্লব।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, যশোর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূতসম্পদ অর্জন ও দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দেয় দুদক প্রধান কার্যালয়। বর্তমানে দুদক যশোর জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন অভিযোগে প্রাথমিক তদন্ত করছেন।
সাইফুজ্জামান পিকুল যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালে সড়ক ও মহাসড়কের হাজারো গাছ বিক্রি ও বিভিন্ন প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় তিনি নিয়োগ বাণিজ্য, জমি ইজারা ও দোকান বরাদ্দের নামে সরকারের টাকা আত্মসাতের মাধ্যমে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন বলে দুদকে অভিযোগ যায়।
অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে সাইফুজ্জামান পিকুলসহ তার স্ত্রী ও সন্তানদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ চেয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা ২৯ মে আদালতে আবেদন করেছিলেন। গতকাল আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক মঞ্জুর করে পিকুলসহ পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন।
সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল শেখ হাসিনার পতনের পরপরই ভারতে পালিয়ে যান বলে জনশ্রুতি রয়েছে। তার স্ত্রী শেফালী জামান ও ছোট ছেলে তানভীর নওশাদ অর্ণব কোথায় আছেন তা কেউ বলতে পারেন না। তবে তাদের দীর্ঘদিন যশোরে দেখা যাচ্ছে না।
অপরদিকে, সাইফুজ্জামান পিকুলের বড় ছেলে তানজীব নওশাদ পল্লব নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের যশোর জেলা সাধারণ সম্পাদক। ২০২৪ সালের ২৩ আগস্ট তিনি বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক হয়েছিল। পরে জামিনে বের হয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে।