কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি: বহুল আলোচিত কালীগঞ্জ ডায়াবেটিক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন আবারো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে সমিতির তত্ত্বাবধায়ক কালীগঞ্জ উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ ঘোষণা দিয়েছেন।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, কালীগঞ্জ উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক কালীগঞ্জ ডায়াবেটিক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনের সকল কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
কালীগঞ্জ ডায়াবেটিক সমিতির তত্ত্ব¡াবধায়ক ও কালীগঞ্জ উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম জানান, এ নিয়ে দুই বার নির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সমিতির গঠনতন্ত্র ও নতুন সদস্য অর্ন্তভুক্ত করা নিয়ে সদস্যদের মধ্যে জটিলতা ও বিরোধ দেখা দেওয়ায় উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্তে এবারো নির্বাচনটি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেদারুল ইসলাম জানান, ডায়াবেটিক সমিতির নির্বাচন নিয়ে সদস্যরা তাকে এবং সমাজসেবা কর্মকর্তাকে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়। এতে জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া ও আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশাঙ্কায় আলোচনান্তে ওই নির্বাচনটি সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে। আগামীতে সকল সমস্যার সমাধান পূর্বক সৃষ্ট পরিবেশ তৈরি করে সমিতির নির্বাচন করানো হবে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত. ডায়াবেটিক সমিতির নিয়মবর্হিভূত কর্মকাণ্ড ও ত্রুটিপূর্ণ গঠনতন্ত্রসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে এর আগে ২৩ ফেব্রয়ারি একবার নির্বাচন বন্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু সমিতির গঠনতন্ত্র সংশোধন না করেই আবারো একটি মহল ৭ জুলাই পাতানো নির্বাচনের আয়োজন করে। এতে আপত্তি জানিয়ে সমিতির ১০ সদস্য গত ২৪ জুন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর এবারও নির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কালীগঞ্জ ডায়াবেটিক সমিটির নানা অনিয়ম ও মনগড়া গঠনতন্ত্র বাতিলসহ নতুন সদস্য পদ পেতে আবেদনকারী অনলাইন নিউজ পোর্টাল ’উচ্চ কন্ঠের’ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম রবি বলেন, ওই সমিতিতে নানা অনিয়ম জেকে বসেছে। দীর্ঘ ১০/১২ বছর ধরে কোন আয় ব্যয়ের হিসাব দেখানো বা সাধারণ সভার মাধ্যমে নির্বাচন হয় না। সমিতিতে একটি চক্র ভর করছে। তারা বরাবরই গোপনে পাতানো কমিটি দিয়ে সংগঠন চালিয়ে আসছে। তিনি বলেন, এই সমিতি একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু কিছু পদ লোভী সদস্যদের কারণে সমিতি ডুবে যেতে বসেছে। তিনি এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে গত ফেব্রয়ারি মাসে এক অভিযোগ দিলে সে সময়ে নির্বাচন বন্ধ করা হয়। কিন্তু আবারো একটি চক্র নির্বাচন করার চেষ্টা করাতে এবারে সমিতির তালিকাভুক্ত সদস্যরা অনিয়মের অভিযোগ দেয়াতে নির্বাচন বন্ধ হয়েছে।