Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

বেনাপোল বন্দরে আমদানি নিষিদ্ধ ওষুধসহ ৬ বস্তা পণ্য আটক

এখন সময়: রবিবার, ৬ জুলাই , ২০২৫, ১০:০৬:৩১ এম

নিজস্ব প্রতিবেদক : বেনাপোল বন্দরে আমদানি নিষিদ্ধ ও ঘোষণাবহির্ভূত ৬বস্তা পণ্য আটক হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)-এর তথ্যের ভিত্তিতে বেনাপোল বন্দরের ২৬ নম্বর শেডে অভিযান চালিয়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এ মালামাল আটক করে।
আটককৃত মালামালের মধ্যে আমদানি নিষিদ্ধ ওষুধ, মোবাইল ফোনের যন্ত্রাংশ ও শাড়ি কাপড় রয়েছে। কাস্টম কর্তৃপক্ষ বলেছেন’ আটক করা মালামালের মোট বাজারমূল্য এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।
সূত্র জানায়, ২৬ জুন বিকেল ৫টায় যৌথ অভিযানে বেনাপোল কাস্টমস কর্মকর্তারা এনএসআই-এর তত্ত্বাবধানে ২৬ নম্বর শেডে রাখা একটি পণ্যের চালান থেকে সন্দেহজনক ছয়টি বস্তা আলাদা করেন। এ সময় সেখানে পাওয়া যায় আনুমানিক ৬০ কেজি আমদানি নিষিদ্ধ ওষুধ, ৯৬ হাজার পিস (প্রায় দুই বস্তা) জিলেট ব্লেড, ৬০ পিস শাড়ি কাপড়, ২হাজার ২০০ পিস মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে ইউনিট, আনুমানিক এক কেজি সাদা রঙের গুঁড়ো পদার্থ, যার প্রকৃতি তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত হয়নি।
এ বিষয়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানায়, সাদা গুঁড়ো পদার্থটি পরীক্ষণ না করে নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয়। এটি কোনো মাদক দ্রব্য কিংবা কেমিক্যালও হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় একটি পক্ষ জানিয়েছে, এসব পণ্যের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স দলিলুর রহমান অ্যান্ড সন্স এবং সিএন্ডএফ এজেন্ট হিসেবে দায়িত্বে সার্ভিস লাইন। পণ্যগুলো ভারত থেকে আমদানি করা হয় এবং ঘোষণায় বুক ইটস্ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। চালানটির ওজন ১৭,৪২৪.৩৫ কেজি এবং মোট প্যাকেজ ৬৮২টি। পণ্য চালাটি বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে ১৯ জুন ২০২৫ তারিখে, যার মেনিফেস্ট নম্বর ৬০১/২০২৫/০০২/০০৪১০৩৬/০৫।
তবে, উল্লেখিত আমদানিকারক ও সিএন্ডএফ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে আটককৃত পণ্য চালানটি তাদের না। একটি কুচক্রী মহল তাদের ব্যবসায়ীক সুনাম ক্ষতিগ্রস্ত করতে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স দলিলুর রহমান অ্যান্ড সন্স এবং সিএন্ডএফ এজেন্ট সার্ভিস লাইন প্রতিষ্ঠানের নামে অপ-প্রচার চালাচ্ছে। তারা জানান, বন্দর সেডে অনেক প্রতিষ্ঠানের পণ্য সামগ্রী রয়েছে’ সেখানে কেবল তাদেরকে দোষারোপ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে তাদেরকে যেনো হেনস্থা না করা হয়’ সেজন্য তারা কাস্টম কর্তৃপক্ষকে অনুরোধও করেছেন।
জানা যায়, অভিযানের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল কাস্টম হাউজের উপ-কমিশনার মির্জা রাফেজা ও বন্দরের সহকারী পরিচালক আজহারুল ইসলামসহ কাস্টম, বন্দর ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা। তারা জানান, এ ঘটনায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করেছে এবং যেসব প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি এই চালানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাঁদের পরিচয় ও সংশ্লিষ্টতা নিয়ে যাচাই চলছে। পণ্যের স্বার্থে কিছু নমুনা পরীক্ষার জন্য বিশেষায়িত ল্যাবে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
বেনাপোল কাস্টম হাউজের উপ-কমিশনার মির্জা রাফেজা জানান, পণ্যগুলোর বিষয়ে যাচাই বাছাই চলছে এবং পরবর্তী আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আটক করা মালামালের মোট বাজারমূল্য এখনো নির্ধারণ করা হয়নি, তবে তা কয়েক কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই- এর বেনাপোলের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, সম্প্রতি বেনাপোল বন্দরে নিষিদ্ধ ও চোরাই পণ্যের প্রবেশ বাড়ায় নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। সংস্থাটির সদস্যরা এর আগেও বেশ কয়েকটি বড় চালান আটক করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। দেশে অবৈধ পণ্য প্রবেশ ঠেকাতে আমাদের নজরদারি অব্যাহত থাকবে। কোনো অপরাধী চক্রকে ছাড় দেয়া হবে না।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)