স্পন্দন ডেস্ক: অর্থবছর শেষ হতে বাকি আরো দুইদিন। এর আগেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য ঘেঁটে দেখা গেছে, এর আগে দেশে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স এসেছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে। সেবার প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার।
এ হিসাবে চলতি অর্থবছরের বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত প্রবাসীদের পাঠানো মোট ৩০ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্সকে এক অর্থবছরের সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় ধরা হচ্ছে।
আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে তা ২৬ দশমিক ৫০ শতাংশ বেশি। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ২৮ জুন পর্যন্ত রেমিটেন্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার। আর পুরো অর্থবছরজুড়ে এসেছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, অর্থবছরের শেষ মাস চলতি জুনের ২৮ দিনে ২ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স এসেছে। আগের বছরের একই মাসে যা ছিল ২ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান সাংবাদিকদের রেমিটেন্সের সবশেষ তথ্য দিয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের জুনের চেয়ে চলতি বছরের দুই দিন বাকি থাকতেই ব্যাংকিং চ্যানেলে পাঠানো রেমিটেন্স বেড়েছে ৭ দশমিক ১০ শতাংশ।
রেমিটেন্স বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যাংকাররা ডলারের ভালো দর থাকার কথা তুলে ধরেন। টাকার বিনিময়ে পুরো বছর জুড়েই উচ্চ দর মিলেছে। বছর দেড়েক ধরে ডলারের চাহিদা যেমন বেড়েছে, তেমনি বাজারও স্থিতিশীল রয়েছে। এখন প্রতি ডলারের বিপরীতে ব্যাংক ও মানি ট্রান্সফার এজেন্সিগুলোতে ১২২ থেকে ১২৩ টাকা মিলছে।
আইএমএফের শর্ত মেনে চলতি বছর মে মাস থেকে ডলার দর বাজারের ওপর ছেড়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
এরপর গভর্নর আহসান এইচ মনসুর সাংবাদিকদের বলেছিরেন, বাজারভিত্তিক করা হলেও বর্তমানে ডলারের যা দর রয়েছে, তার থেকে খুব বেশি তারতম্য ঘটবে না।
দেড় মাস পরও বর্তমানে ডলার স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে।