মিরাজুল কবীর টিটো : যশোর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড ঘোপ জেলরোড বেলতলা এলাকায় পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। বৃষ্টি হলেই রাস্তা জুড়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ওই সময় চলাচলে পথচারীরা পড়ে দুর্ভোগে। অথচ জলাবদ্ধতা নিরসনে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ড্রেন পরিষ্কার কাজ করলেও এই এলাকার জলাবদ্ধতার বিষয় তারা জানেন না। পৌরসভা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে এমনটি জানা গেছে।
পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা জায়েদ হোসেন জানান, বৃষ্টি হলে পৌর এলাকায় যাতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি না হয় এজন্য ড্রেন পরিষ্কার কাজ চলমান রয়েছে। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে ড্রেন পরিষ্কার কাজ শুরু করা হয়। এ পর্যন্ত ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। অন্যদিকে ৩ নম্বর ওয়ার্ড ঘোপ জেলরোড বেলতলা এলাকায় জলবদ্ধতার মধ্যে পথচারীসহ এলাকাবাসীকে চলাচল করতে হচ্ছে।
ঘোপ জেল রোড বেলতলা এলাকার ব্যাটারী ব্যবসায়ী নজিবর রহমান জানান, রাস্তার পূর্ব পাশে সেখানকার এক ব্যক্তি বাড়ি নির্মাণের কারণে ড্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পানি বের হতে পারছে না। পশ্চিম পাশে পানি বের হওয়ার কোনো ড্রেন নেই। একারণে বৃষ্টি রাস্তায় পানি জমে থাকে। এতে করে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করতে সমস্যা হচ্ছে। একই কথা জানান সেখানকার ইলেকট্রিক মিস্ত্রি মুনির হোসেন, চায়ের দোকানদার রবিউল ইসলামসহ আরো অনেকে। সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, বৃষ্টি হওয়ায় ঘোপ জেলরোডে পানি জমে আছে। পানির মধ্য দিয়ে ছোট খাটো যানবাহনসহ পথচারীদের চলাচল করতে হচ্ছে। অথচ পৌরসভা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কিছু জানেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, আমরা পৌরসভাকে নিয়মিত ট্যাক্স পরিশোধ করলেও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ পৌর নাগরিকের সমস্যা দুর করতে কোন পদক্ষেপ নেয় না।
পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা জায়েদ হোসেন আরো জানান, জেলরোড ঘোপ বেলতলা এলাকার রাস্তার পূর্ব পাশে মাংসের দোকানসহ আশপাশের জায়গা নওয়াপাড়া ইউনিয়নের মধ্যে পড়ে। সেখানকার পানি নিষ্কাশনের জন্য উদ্যোগ নিতে হবে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে। আর পশ্চিম পাশের জায়গা পৌরসভা এলাকার মধ্যে পড়ে। ওই জায়গায় যদি জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়, তাহলে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।
এ ব্যাপারে পৌর প্রশাসক রফিকুল হাসানকে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।