নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়েছে। এছাড়া আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে চাল। তবে ডিম ও মুরগির দাম কমেছে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজির সরবরাহ কম রয়েছে। এ কারণে দাম বেশি।
শুক্রবার শহরের বড় বাজার ঘুরে দেখা যায়, ধুন্দল, কচুর লতি, বরবটি, ঢেঁড়স, কাঁকরোল, বেগুন, শশা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টমেটো, পটল, করলা, লাউ, চিচিঙ্গা ও ঝিঙ্গে ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেপে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা প্রতিকেজি। বাজারে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ১৪০-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতা শংকর মল্লিক বলেন, টানা বৃষ্টি হলে সবজি কম তোলেন কৃষকরা। অনেকের সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে বৃষ্টির সময় সবসময় দাম বেশি থাকে। আড়তেই দাম বেশি দিয়ে আমরা কিনে আনছি।
এদিকে কোরবানির ঈদের পর দাম বাড়ে চালের। নতুন করে না বাড়লেও আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে চাল।
মুদি দোকানী আশিষ কুমার জানান, বাজারে বর্তমানে মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়। ঈদের আগে যা ছিল ৭২-৭৪ টাকা। আবার মোজাম্মেল মিনিকেটের দাম ৭৫ টাকা থেকে বেড়ে ৮৮-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া ব্রি-২৮, ব্রি-২৯ ও পাইজাম চাল কেজিতে ৪ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৪ টাকায়। মোটা চাল স্বর্ণার দাম কেজিতে ২-৩ টাকা বেড়ে ৫৭-৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজ, রসুন, আদা, আলু প্রভৃতি আগের দামেই স্থিতিশীল রয়েছে। এর মধ্যে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫৫-৬০ টাকা, রসুন ১২০-২০০ টাকা, আদা ১৪০-১৬০ টাকা ও আলু ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সাধারণত কোরবানীর ঈদে মুরগির দাম কম থাকে। এবারও নিম্নমুখী রয়েছে মুরগির দাম। বর্তমানে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫০-১৬০ টাকায় বিক্র হচ্ছে। এছাড়া সোনালী মুরগির দাম কেজিপ্রতি ৩০০-৩২০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে প্রতি ডজন ডিম ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুরগি বিক্রেতা ইব্রাহিম হোসেন বলেন, এ দামে মুরগি ও ডিম উৎপাদন করা যায় না। খামারিরা লোকসানে পড়েন।