স্পন্দন ডেস্ক : গুজব আর অস্থিরতার মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নতুন করে সংলাপের অংশ হিসেবে সাত দল ও এক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনায় বসে ‘নির্বাচন বানচালের চেষ্টা’ নিয়ে সতর্ক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
তাকে উদ্ধৃত করে তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, “বাংলাদেশের সত্তাকে গড়ে তুলতে যারা বাধা দিতে চায়, তারা নির্বাচন বানচালের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।”
মঙ্গলবার বিকাল সোয়া ৫টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাত দল ও এক সংগঠনের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক শুরু হয়, চলে প্রায় দেড় ঘণ্টা। গত রোববার তিন দলের সঙ্গে বৈঠকের মত এদিনও আলোচনা ছিল মূলত নির্বাচনকেন্দ্রিক।
এবি পার্টি, নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয় গণফ্রন্ট এবং হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতারা এদিন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে যমুনার সামনে ব্রিফিংয়ে এসে শফিকুল আলম বলেন, ‘’প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকে সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারি, মানে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে। সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে তিনি পরামর্শ চেয়েছিলেন মিটিংয়ে।
“তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) বলেছেন, ‘’আনন্দ ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে। জীবনে কখনো ভোট দিতে পারেনি তাদের জন্য এই নির্বাচনে ভালো অভিজ্ঞতা দিতে হবে। যারা ভোট দিতে গিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন, পূর্বে তাদেরও ভালো অভিজ্ঞতা দিতে হবে। কেউ যেন বলতে না পারে যে আমাকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি’।”
প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে প্রেস সচিব বলেন, “যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নির্বাচন পর্যন্ত পৌঁছাতে দিতে চায় না, তারা যত রকমভাবে পারবে বাধা দেবে।
“এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করবে যাতে নির্বাচন না হয়। এগুলোর কিছু কিছু লক্ষণ এখন দেখা যাচ্ছে। সামনে আরো আসবে। এজন্য আমাদের আরো সতর্ক হতে হবে। আমাদের চেষ্টা হবে নির্বাচন করার এবং নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচিত সরকারের হাতে আমরা ক্ষমতা হস্তান্তর করব।”