নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে যৌতুক দাবির অভিযোগ স্ত্রী শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। সোমবার যশোর শহরের শংকরপুর ইসহক সড়কের আলী আজগর ও শহরতলীর খোলাডাঙ্গার ওবাইদুল্লাহ আলাদা এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শান্তুনু কুমার মন্ডল অভিযোগের তদন্ত করে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও সদর সাব রেজিস্ট্রারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলো, ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কুসুমপুর গ্রামের লুৎফুর রহমানের মেয়ে শিউলী খাতুন এবং ঝিকরগাছার কবির হোসেন ও তার স্ত্রী মঞ্জুরা বিবি এবং মেয়ে মাসুরা খাতুন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আলী আজগর ২০২২ সালের ৪ এপ্রিল আসামি শিউলী খাতুনকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় শিউলীকে সাড়ে ৫ ভরি সোনার গহনা দেয়া হয়েছে। শিউলীর আগে এক বিয়ে ও সন্তানের বিষয়টি গোপন করেছিল। বিয়ের কয়েক মাস যেতে না যেতে শিউলী উচ্ছৃৃঙ্খল জীবনযাপন শুরু করে। চলতি বছরের জুন মাসে কাউকে কিছু না বলে শিউলী সৌদি আরব চলে যায়। সেখানে শিউলী আটকা পড়লে ১ লাখ ৬৬ হাজার টাকা তাকে দেশে ফেরত আনার ব্যবস্থা করা হয়। গত ১৭ সেপ্টেম্বর শিউলী দেশে ফিরে আসে। ১৯ সেপ্টেম্বর শিউলী ঘরে থাকা ৩ লাখ ২৪ হাজার টাকা মারপিট করে নিয়ে নেয়। এরপর আরও ১০ লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে দাবি করে না দেয়ায় চলে যায়। বিষয়টি মীমাংসায় ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।
অপর দিকে, ওবাইদুল্লাহ তিন বছর আগে মাসুরা খাতুনকে বিয়ে করেন। ভালোই চলছিল তাদের সংসার। শ্বশুর-শাশুড়ির কুপরামর্শে তার স্ত্রী মাসুরা খাতুন নানা অজুহাতে সংসারে অশান্তি করত। গত ৩০ আগস্ট মাসুরা তার মা ও পিতাকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসে। এদিন ওবাইদুল্লাহ কাজে চলে গেলে মাসুরা তার মেয়েকে ঘুম পাড়িয়ে ঘরে থাকা ৫০ হাজার টাকা ও সোনার গহনা নিয়ে মা ও পিতার সাথে চলে যান। মাসুরাকে আনতে গেলে তার নামে দুই শতক জমি লিখে না দিয়ে সে আর সংসার করবে না বলে জানিয়ে দেয়। বিষয়টি মীমাংসায় ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।