Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

ডেঙ্গুতে তরুণদের প্রাণ যাচ্ছে বেশি

এখন সময়: মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর , ২০২৫, ০৩:৪৫:১৩ পিএম

স্পন্দন ডেস্ক: এ বছর দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।

মৃত রোগীদের তথ্য বিশ্লেষণ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, বেশিরভাগের ক্ষেত্রে মৃত্যুর কারণ ছিল ডেঙ্গু শক সিন্ড্রম। আর দ্বিতীয় প্রধান কারণ ছিল এক্সপান্ডেড ডেঙ্গু সিন্ড্রম।

গুরুতর রোগীকে হাসপাতালে আনতে দেরি করে ফেলায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু বাড়ছে বলে চিকিৎসকরা মনে করছেন।

এ বছর মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে রোববার পর্যন্ত ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৮৩১ জনে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো.হালিমুর রশিদ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন, তাদের ১২৪ জনের ‘ডেথ রিভিউ’ (তথ্য পর্যালোচনা) করেছে অধিদপ্তর।

সেই প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ডা. রশিদ বলেন, মৃতদের অধিকাংশ ৩ থেকে ৬ দিন জ্বরে ভোগার পর হাসপাতালে এসেছেন।

১২৪ জনের মধ্যে ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে ভর্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ১৮ জন, ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ৫ জন এবং ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে ভর্তির ৭২ ঘণ্টা পর।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। মোট ১৯ জনের বয়স ছিল ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।

এছাড়া ১০ বছরের কম বয়সী ১৬ জন, ১০ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৪০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৬০ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৩ জন, ৭০ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে এক জন এবং ৮০ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে এ বছর।

সব মিলিয়ে যে ১৭৯ জন এ বছর মারা গেছেন, সেখানেও পাওয়া যায় একই ধরনের চিত্র।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ডেঙ্গু বুলেটিনের তথ্য বলছে, ওই ১৭৯ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪৩ জনের বয়স ছিল ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। আক্রান্তের সংখ্যাও এই বয়স সীমায় সবচেয়ে বেশি।

এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে ডা. হালিমুর রশিদ বলেন, “বয়স কম হওয়ার কারণে কম বয়সী মানুষ জ্বরকে গুরুত্ব দেয় না। বয়স কম হওয়ায় শুরুতে শরীরও এতটা দুর্বল হয় না। দেরি করে হাসপাতালে যখন আসে, ততক্ষণে তারা শকে চলে যায়। এ কারণে তরুণদের মৃত্যু হার বেশি।

“এখন চিকিৎসকের কাছে গেলেই রোগীকে এনএসওয়ান পরীক্ষা করাতে বলে। পরীক্ষায় পজিটিভ এলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। এ কারণে আমাদের পরামর্শ জ্বর হলে দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া।”

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেথ রিভিউ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, জেলাভিত্তিক হিসাবে এ বছর ডেঙ্গুতে ঢাকায় সবচেয়ে বেশি ১৭ জন এবং বরগুনা জেলায় ১২ জন মারা গেছেন।

হাসপাতালভিত্তিক হিসাবে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সবচেয়ে বেশি ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২ জনের মৃত্যু হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশ্লেষণ বলছে, মৃতদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি, ৬০ জন। আর ৫৩ জন নারী।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. খায়ের আহমদ চৌধুরী, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. শেখ ছাইদুল হক, পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমুহ) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

 

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)