আলমডাঙ্গা অফিস : হঠাৎ অসহায় হয়ে পড়া নারীদের অনুপ্রেরণা আলমডাঙ্গার সোনাপট্টির বন্ধনা দত্ত। স্বামী
শ্যামল দত্ত মারা যাওয়ার পর স্ত্রী বন্ধনা দত্ত এক কন্যাকে নিয়ে বিপাকে পড়েও আস্তে আস্তে নিজেকে সফল করে তুলেছেন। তার সংগ্রাম হতে পারে অন্যের জন্য অনুপ্রেরণা।
দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সাত বছর আগে তার স্বামী শ্যামল দত্ত মারা যান। এর আগে মৃত্যু পথযাত্রী স্বামীকে বাঁচিয়ে তুলতে তিনি এদেশ-ওদেশ ছুটে বেড়িয়েছেন। বাংলাদেশ ইন্ডিয়া করেও বন্ধনা দত্ত তার স্বামীকে বাঁচাতে পারেন নি। তবে পাইলট স্কুলের গেইট ঘেঁষে শ্যামল দত্ত রেখে যান আয়ের একমাত্র মাধ্যম একটি দোকান। দোকানটি কিছুদিন বন্ধ ছিল। সে সময় বন্ধনা দত্ত সংসার ও ভার্সিটি পড়ুয়া একমাত্র মেয়ে তমার পড়াশোনা চালাতে নিজেই দোকানটির পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেন। সেই থেকে আজ অবধি প্রায় সাতবছর তিনি ফাস্টফুডের দোকান পরিচালনা করে আসছেন। পাইলট স্কুলের সন্তানতুল্য হাজারো শিক্ষার্থী তার দোকানের নিয়মিত খদ্দের। জীবনে অনেক ভাঙা গড়া আসে, জীবনে সবাইকে একসময় একা হতে হয়-প্রকৃতির চিরন্তন এই নিয়মকে মনে গেঁথে নিয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন একজন লৌহমানবী। বন্ধনা দত্ত দ্যার্থ কণ্ঠে বলেন, নারী হয়ে দোকান চালাচ্ছি এতে সমাজের অনেকেই অনেক কথা বলে। কিন্ত এতে আমার কিছু আসে যায় না। কারন সমাজের তারা আমার সংসার চালিয়ে দিচ্ছে না। বন্ধনা দত্ত এই সমাজের বড় একজন উদ্যোক্তা। তিনি হঠাৎ অসহায় হয়ে পড়া নারীদের অনুপ্রেরণা।